শনিবার বিকালে পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন যত রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার দ্বিগুণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায়
নমুনা পরীক্ষার সঙ্গে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও মৃত্যুর সংখ্যা দেড় গুণ বেড়েছে।
শনিবার সকাল
৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মোট
মৃত্যুর সংখ্যা নিয়েছে ৭ হাজার ৪২৮ জনে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
আরও ১ হাজার ৬৮৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর
মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৮ জন হয়েছে।
নতুন শনাক্ত ৮৩৪ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৯ জন
হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় এর চেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ৯ মে। সেদিন
৬৩৬ রোগী কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
কোরবানির ঈদের পর দিনে শনাক্ত রোগী শনিবারই প্রথম হাজারের
নিচে নামল। কোরবানির
ঈদের পর দিন ২ অগাস্ট ৮৮৬ রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন মাত্র ৩ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা
হয়েছিল।
গত
২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯১২টি নমুনা পরীক্ষা হয়, যা আগের দিনের চেয়ে সাড়ে ৩ হাজার কম।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত সপ্তাহের তুলনায় নমুনা পরীক্ষা ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কমেছে, তার
সঙ্গে শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও ১৭দশমিক ৭৫ শতাংশ কমেছে।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুর হার ও সুস্থতার হারও কমেছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ;
তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী
শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর
তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১২ ডিসেম্বর তা সাত হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে
৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক
থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৪টি আরটি-পিসিআর ল্যাব,২০টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র্যাপিড
অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬৩টি ল্যাবে ৯ হাজার ৯১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ
পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৫৯ হাজার ২৬০ টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায়
নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ০৮ শতাংশ। শনাক্ত
বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত এক দিনে
যারা মারা গেছেন,তাদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ আর নারী ৭ জন। তাদের প্রত্যেকেই
হাসপাতালে মারা গেছেন।
তাদের মধ্যে
২১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি,৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,এবং ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের
মধ্যে ২০ জন ঢাকা বিভাগের,৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের,১ জন করে মোট ৩ জন খুলনা, রংপুর এবং ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ
পর্যন্ত মারা যাওয়া ৭ হাজার ৪২৮ জনের মধ্যে ৫ হাজার ৬৫৯ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৭৬৯ জন নারী।
মৃতদের মধ্যে ৪ হাজার ৪৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের
বেশি। এছাড়াও ১ হাজার ৮৮৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে,৮৭৬ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩৭২ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে,১৫৯ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে,৫৭ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।
এর মধ্যে ৪ হাজার ৬৪ জন ঢাকা বিভাগের,১ হাজার ৩৮৬ জন চট্টগ্রাম
বিভাগের,৪৩১ জন রাজশাহী
বিভাগের,৫২৩ জন
খুলনা বিভাগের,২৩৬ জন বরিশাল বিভাগের,২৯০ জন সিলেট বিভাগের,৩৩৪ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৬৪ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা
ছিলেন।