জেলার কালীগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম চৈতরপাড়ায় গত শুক্রবার রাতের এ ঘটনার সময়
তার বাড়ি থেকে নগদ টাকা লুটের অভিযোগও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত নাজমা বেগম (৫০) স্থানীয় পশ্চিম চৈতরপাড়া এলাকার সৌদি প্রবাসী মোমেন
মির্জার স্ত্রী।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুল হক জানান, নিহতের মাথায় ধারলো অস্ত্র এবং লোহা
জাতীয় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
“নিহতের ছেলে স্বপনসহ কয়েকজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্তের
পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।”
শনিবার বিকালে নিহতের জানাজায় অংশ গ্রহণের জন্য ছেলেকে ছেড়ে দেয়। অন্যদের
জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রয়োজনে ছেলেকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, কালীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারজানা ইয়াছমিন সাংবাদিকদের
বলেন, নাজমা বেগমের বাড়ির ছাদে মাদকের আলামত পাওয়া গেছে। টাকা লুটের ঘটনাও ঘটছে বলে
নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে।
“আমরা কয়েকটি সূত্র ধরে ঘটনার তদন্ত করছি। ঘটনাটির সঙ্গে মাদকাসক্ত ছেলে,
না-কি অন্যরা জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আহামুদুল কবির জানান, নিহত
নাজমার স্বামী সৌদি প্রবাসী। তাদের তিন ছেলের মধ্যে দুই ছেলে সুমন (৩০) ও রিপন (২৪)
সৌদী আরবে থাকেন।
ছোট ছেলে স্বপন (২০) তার মায়ের সঙ্গে গ্রামের এ বাড়িতে থেকে ঘোড়াশালের
এক কলেজে পড়াশোনা করেন। এবার তিনি এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের অপেক্ষায় আছেন।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বসত ঘরে নাজমাকে গুরুতর
জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার ছেলেসহ প্রতিবেশীরা। তার মাথায় ধরোলো অস্ত্রের আঘাতের
চিহ্ন রয়েছে।
তারা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নাজমা বেগমের মৃত্যু হয় বলেন তিনি।
এদিকে, নিহতের ছেলে স্বপন মির্জা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন,
তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিম চৈতরপাড়ায় ওয়াজ ওয়াজ শুনে রাত পৌনে ৯টার দিকে বাড়ি ফিরে
ঘরের মেঝেতে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন।