শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “এই সরকারকে
হটাতে হবে- ওয়াদা করি প্রতিদিন। ডেইলি প্রতিশ্রুতি নেই- দলের ভেতরে বিভেদ চলবে না,
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে
“কিন্তু এখান থেকে বাইর হয়ে গিয়ে ৩/৪ লইয়া
দোকানে বইসা কারে সাইজ করতে হইব- তা নিয়ে আলাপ করি আমরা। এরকম হলে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে
পারব না।”
দলের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে তারপরই আন্দোলনে
নামা উচিৎ বলে মনে করেন গয়েশ্বর।
“জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয়, দেশ থাকবে, দেশের সার্বভৌমত্ব
থাকবে। জাতি যদি ঐক্যবদ্ধ হয় গণতন্ত্র অবশ্যই ফিরে আসবে। গণতন্ত্র যদি নিশ্চিত করতে
পারি, শুধু খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান কেন, দেশের ১৮ কোটি মানুষই মুক্তি পাবে।”
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জিয়াউর রহমানের
নাম মুছে ফেলা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সত্যকে স্বীকার করার যে সাহসের প্রয়োজন
সেটা আওয়ামী লীগের নাই। জিয়াউর রহমান যখন স্বাধীনতা ডাক দিয়েছেন, তখন আওয়ামী লীগের
নেতারা সবাই অবনত মস্তকে বিনা প্রতিবাদে, বিনা প্রশ্নে তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যুদ্ধে
অংশগ্রহণ করেছেন। কেন তখন তাকে প্রশ্ন করেননি যে আপনি কে? কারণ জনগনের মনের কথা জিয়াউর
রহমান বলেছেন।”
আওয়ামী লীগ দেশকে বিভক্ত করছে বলে অভিযোগও
করেন গয়েশ্বর।
কৃষক দলের ওই আলোচনায় সংগঠনটির আহ্বায়ক ও বিএনপির
ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “কেউ যদি মনে করেন নির্বাচন করে এই সরকার
পরিবর্তন করবে। কারণ নির্বাচনী ব্যবস্থাকেই তো এই সরকার শেষ করে দিয়েছে। তাই বলব, রাস্তায়
নামা ছাড়া সরকার পরিবর্তনে অন্য কোনো বিকল্প নেই। আমাদেরকে সেজন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি
নিতে হবে।”
সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে
কৃষক দলের ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
কৃষক দলের সদস্য এস কে সাদীর পরিচালনায় আলোচনা
সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন
খোকন, কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল
কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, উলামা দলের আহবায়ক শাহ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব
আবদুস রহিম, কৃষক দলের নাসির হায়দার বক্তব্য রাখেন।