শনিবার ওই এলাকায় ‘দখলমুক্তকরণ
কার্যক্রম’ পরিদর্শনে গিয়ে এই সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি।
সোমবারের মধ্যে অবৈধ
স্থাপনা সরিয়ে না নিলে মঙ্গলবার থেকে ওই সড়কে উচ্ছেদ অভিযান, জরিমানা ও মালামাল জব্দসহ
কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেন প্রশাসক।
এসময় সুজন বলেন, “চট্টগ্রাম
নগরীতে বাস করতে হলে আইন মানতে হবে। অননুমোদিত কোনো স্থাপনা থাকবে না। অবৈধ দখলদারিত্ব
থাকবে না। একজনের বেআইনী সুযোগ-সুবিধার জন্য দশজনের ক্ষতি হয় এমন কিছু করা যাবে না।
এই নগরীতে এ ধরনের অনৈতিক ও জনস্বার্থবিরোধী কোনো অপকর্ম বরদাস্ত করা হবে না।
“গুটিকয়েক লোভী ও দুষ্ট
প্রকৃতির লোক এই নগরীর ৬০ লাখ অধিবাসীকে জিম্মি করতে চায়। এরা যতই প্রভাবশালী হোক না
কেন তারা সমাজের বিষফোঁড়া। এদের অস্ত্রোপচার করে উপড়ে না ফেললে সমাজদেহ ব্যাধি আক্রান্ত
হবে।”
তিনি বলেন, “বড় বড়
নালাগুলোর উপর অননুমোদিত স্থাপনা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলায় পানি চলাচল
বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে জোয়ার-ভাটায় এলাকায় বিরূপ প্রভাব পড়ে। সবচেয়ে বড় পরিণতি হল
ময়লা-আবর্জনায় অবরুদ্ধ নালা-নর্দমাগুলো মশা প্রজননের উৎস হয়ে দাঁড়ায় এবং পরিবেশ দুর্গন্ধময়
হয়ে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ায়।
“প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বকালীন
সময়ে চট্টগ্রামকে আন্তর্জাতিকমানের নগরীতে উন্নীত করতে যে বাধা, ক্ষত ও প্রতিবন্ধকতা
রয়েছে তা চিহ্নিত করে দিচ্ছি, যাতে আগামীতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন তারা চট্টগ্রামের
কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ণের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যেতে পারেন।”
সুজন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের জন্য এমন কিছু মেগা প্রকল্প হাতে নিয়েছেন যেগুলো বাস্তবায়িত
হলে নগরীর আশপাশে কয়েকটি উপশহর ও শিল্পজোন গড়ে উঠবে। তাই যেভাবেই হোক চট্টগ্রামের সড়ক
অবকাঠামোসহ প্রাসঙ্গিক প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন
সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলী বক্স, গোলাম মোহাম্মদ জোবায়ের ও নজরুল ইসলাম বাহাদুর, প্রশাসকের
একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, নির্বাহী
প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, মির্জা ফজলুল কাদের, আশিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন
কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
শনিবার উচ্ছেদ অভিযানে
ভ্রাম্যমাণ আদালত ৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করে।