শনিবার বিকালে পুরাতন
নগর ভবনের কে বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় পরিষদের সভাপতি
কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ বলেন, “অদূর ভবিষ্যতে চট্টগ্রাম বন্দর ভৌগলিক অবস্থার কারণে
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নৌ ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম প্রধান হাব হিসেবে পরিগণিত হবে। তাই
এখন থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কার্গো-কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সামাল
দিতে ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে উন্নয়নমূলক
পদক্ষেপ নিতে হবে।
“চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ
অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ অনুসারে নিজস্ব অর্থে ব্যয় মিটিয়ে বন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা
করা সম্ভব। এতে বাংলাদেশের সার্বিক জিডিপি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ফিজিবিলিটি স্টাডি ছাড়া
বন্দরের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করা ও অপচয়মূলক কোনো খাতে বন্দরের প্রকল্প গ্রহণ করা
উচিত হবে না।”
চট্টগ্রাম বন্দরের
‘উন্নয়ন ও কাজে গতি আনতে’ নতুন এই সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে গত ৮ নভেম্বর।
শনিবারের সভায় বিস্তারিত
আলোচনার পর নয়জনকে নয়টি বিষয় নির্ধারণ করে দিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন পরিষদের সভায় উপস্থাপন
করতে বলা হয়।
এরমধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা
বন্দরের সাবেক সদস্য (প্ল্যানিং অ্যান্ড অ্যাডমিন) হাদী হোসেন বাবুল ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা,
সাবেক সদস্য (অর্থ) হারুন মিঞা শিপিং, সাবেক সদস্য (অর্থ) মোশারফ হোসেন বন্দরের অর্থ
ও হিসাব, সাবেক প্রকল্প পরিচালক (নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল) ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস
সবুর উন্নয়নমূলক প্রকল্প, সাবেক সিনিয়র হাইড্রোগ্রাফার আতাউর রহমান খান কর্ণফুলী নদী
খনন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন।
পাশাপাশি বন্দরের সাবেক
ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (পরিবহন) কে এম মোজাফফর হোসাইন অপারেশন সংক্রান্ত কার্যক্রম উন্নয়ন,
সাবেক প্রোগ্রামার ইঞ্জিনিয়ার সলিমুল্লাহ খান অপচয় রোধ, কর্ণফুলী নদী, নদী গবেষক অধ্যাপক
ইদ্রিস আলী বন্দরের সরকারি-বেসরকারি শ্রমিক কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়ন, বন্দর সিবিএর
সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহফুজুর রহমান খান গবেষণা শেষে প্রতিবেদন দেবেন
বলে সিদ্ধান্ত হয়।
এসব গবেষণার ফলাফল
সেমিনার করে প্রকাশের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হবে বলে জানান
কমডোর (অব.) জোবায়ের আহমদ।
সভায় এই নয় বিশেষজ্ঞকে
নিয়ে একটি টেকনিক্যাল কমিটি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন
ইঞ্জিনিয়ার এম এ সবুর, ইঞ্জিনিয়ার সলিমুল্লাহ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মাহফুজুর রহমান
খান, জসিম উদ্দিন বাবুল, অ্যাডভোকেট রনাঙ্গ বিকাশ চৌধুরী, মো. জামাল উদ্দিন, আবু জাফর
আজাদ, কালাম চৌধুরী, সাজ্জাদুর রহমান বাচ্চু, মো. শাহাবুদ্দিন, তপন চক্রবর্ত্তী, মো.
শরিয়তউল্লাহ, আব্দুর রহমান সিকদার প্রমুখ।