রোববার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব
অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে পাবনা জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এই ঘোষণা
দেয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার
রাত থেকে ঢাকা-পাবনা রুটে সকল প্রকার বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে
পাবনা বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠন।
লিখিত বক্তব্যে পাবনা জেলা
মটর মালিক গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের
বাস শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে পাবনার কোচ ও বাস ড্রাইভারদের মাঝেমধ্যে বিনা কারণে মারধর
করে আসছে। পাবনার মালিক-শ্রমিকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে কোনো
ফল পাননি।
“কারণে-অকারণে তাদের চাঁদাবাজিতে
পাবনার পরিবহন মালিক শ্রমিকরা অতিষ্ঠ।”
তিনি বলেন, বাধ্য হয়ে শাহজাদপুরের
উপর দিয়ে চলাচলকারী বাস কোচসহ সকল রুটে অনির্দিষ্টকালেরর জন্য বাস কোচ চলচল বন্ধ করে
দেওয়া হয়েছে।
তিন দিন অতিবাহিত হলেও
প্রশাসন এই বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগ নেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে
বিষয়টির সুরাহা না হলে পাবনা থেকে সকল রুটে বাস ট্রাক সিএনজি অটোরিকশাসহ সব ধরনের যান্ত্রিক
পরিবহন চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে।”
প্রয়োজনে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের
মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পাবনা জেলা
মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল এহসান রেয়ন, ট্রাক মালিক গ্রুপ সভাপতি রুহুল
আমিন বিশ্বাস রানা, বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক হাজী শরীফ, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের
সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফিরোজ খানসহ জেলার পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের নেতাকর্মীরা
উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পাবনার শ্রমিকদের
মারধর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে
গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে পাবনা-ঢাকা সকল প্রকার বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
ঘোষণা করেছে পাবনা বাস মালিক-শ্রমিক সংগঠন।
এদিকে আকস্মিকভাবে ঢাকাগামী
বাস বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এই রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা।