স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে রোববার জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা
কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে,
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহী, এসআই ও পরিদর্শকদের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়ে
সিদ্ধান্ত নিতে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব একটি কমিটি করবেন।
কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে প্রতিবেদন দেবে এবং প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত
নেওয়া হবে।
কুরিয়ার সার্ভিসে
মালামাল পরিবহনের সময় পরিবহনকারী ব্যক্তির এনআইডির ফটোকপি ও ছবি সংরক্ষণ করতে পারবেন
সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
দেশের বন্দরগুলোতে
মাদক শনাক্ত করার জন্য ডগ স্কোয়াড মোতায়েনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
একটি ডগ স্কোয়াডের প্রকল্প তৈরি করবেন বলেও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
পরবর্তীতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে যাচাইয়ের ভিত্তিতে বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ডগ স্কোয়াড দেওয়া হবে।
মাদক কারবারির গতিবিধি
পর্যবেক্ষণের জন্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করতে
ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেল (এনটিএমসি) কার্যালয়ে মাদকদ্রব্যের একজন কর্মকর্তা অবস্থান
করবেন।
মাদকের বিরুদ্ধে মানুষকে
সচেতন করার জন্য দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাদকের কুফল প্রচারের জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে
অনুরোধ করা হবে। টিভি ও বেতারে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হবে।
পাঠ্যপুস্তকে মাদকের
ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অথবা মন্ত্রীকে
অনুরোধ করার সিদ্ধান্ত হয় সভায়।
নতুন চাকরিতে (সরকারি)
যোগদানের সময়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পরিবহন শ্রমিক এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে
ভর্তির সময় ডোপ টেস্ট করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা রয়েছে। সে আলোকে বিধিমালা
তৈরি প্রক্রিয়াধীন বলে সভায় জানানো হয়।
সারাদেশে মাদকের মামলাগুলো
সমাধানের জন্য প্রতি জেলায় বিশেষ এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত গঠনে আইন মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা
নেওয়ার অনুরোধের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় সরাসরি এবং ভার্চুয়ালি
অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়,
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু
বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা।