তিনি বলেছেন, দেশের শ্রমিক-কৃষক থেকে শুরু করে সকলেই
এখন ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। মহামারীর মধ্যে ডিজিটাল
সেবা না থাকলে বাংলাদেশ পুরো বিশ্ব
থেকে ‘বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত’।
রোববার বুড়িমারী স্থলবন্দরে ‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যারের ভার্চুয়াল
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ই-পোর্ট
ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে বুড়িমারী স্থলবন্দর আরও গতিশীল হবে, স্বচ্ছতা আসবে,
হয়রানি
কমে যাবে এবং সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।”
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ২৪টি স্থল বন্দরের
মধ্যে ১২টি স্থলবন্দর এখন চালু আছে। এর মধ্যে বুড়িমারী থেকে দ্বিতীয়
সর্বোচ্চ রাজস্ব আসে।
‘ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যার চালু হওয়ায় স্থলবন্দরের অনেক সেবা এখন
অনলাইনেই পাওয়া যাবে।
পণ্যবাহী ভারতীয় গাড়ি বন্দরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের তথ্য এবং
পণ্যের ওজনের তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানিকারকের কাছে পৌঁছে যাবে।
স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, বন্দরের গেইট পাস, অনলাইন ডেলিভারি, অনলাইন মনিটরিং ও রিপোর্ট (ড্যাশবোর্ড), অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা, আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ
এজেন্ট, ভারতীয় গাড়ি চালক, পণ্যের তথ্যও সংরক্ষণ করা হবে এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে।
তাতে
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ,
সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রপ্তানিকারকরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি সেবাগ্রহীতাদের সময় ও খরচ কমবে এবং স্থলবন্দরে
আমদানি-রপ্তানির প্রসার ঘটবে বলে সরকার আশা করছে।
সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ই-পোর্ট
ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের’ হোস্টিং হবে ন্যাশনাল ডেটা সেন্টারে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর
রাক্ষণাবেক্ষণ করবে। এই সিস্টেম থেকে বছরে ৬৫ হাজার থেকে ৭০ হাজার মানুষ সেবা পাবে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, “সবাই এখন চলতে চলতে
ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করতে পারছে এবং বাংলাদেশে
এর স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি
বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। তার সরাসরি নির্দেশনায়
প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০২১ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নের কাজ
চলছে।”
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে আমরা সমগ্র পৃথিবীর দৃষ্টির
মধ্যে আছি। দেশ কীভাবে এগিয়ে যেতে পারে- শেখ হাসিনা একটি ‘রোল মডেল’ হিসেবে কাজ
করছেন।”
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে
অন্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ
আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত
সচিব) মো. আব্দুল মান্নান, আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির
সওদাগর, সিঅ্যান্ডএফ
এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান (রাসেল)
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।