ক্যাটাগরি

২০টি ফায়ার স্টেশন, ৬টি পাসপোর্ট অফিস, মহিলা কারাগার উদ্বোধন

রোববার
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এসবের পাশাপাশি একটি এলপিজি স্টেশনও উদ্বোধন
করেন তিনি।

ঢাকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর প্রান্তে থেকে এই
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালসহ ঊর্ধতন
কর্মকর্তারা।

কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার উদ্বোধনের সময়
প্রধানমন্ত্রী কারাগারকে সংশোধনাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং বন্দিদের
উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত করতে সরকারের প্রচেষ্টার কথা বলেন।

তিনি
বলেন, “এতগুলো লোক বেকার বসে থাকবে কেন? সেই জন্য সেখানে আমরা তাদেরকে ট্রেনিং
করানো এবং তাদের কিছু পণ্য উৎপাদন করা আর সেই সাথে সাথে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত
করার ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি।

“বাজারজাত
করার ফলে যে টাকাটা আসবে, সেই খরচটা রেখে তার ৫০ ভাগ যেটা উৎপাদন করবে, সেই পণ্যের
মূল্য হিসেবে সে ৫০ ভাগ যে কাজ করবে সে পাবে। সেটা সে নিজে জমাও করতে পারবে অথবা
তার কিছু অংশ তার পরিবারকেও পাঠাতে পারবে।”

প্রধানমন্ত্রী
বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্যটা হল, কারাগারে শুধু অপরাধীদের বন্দি করে রাখা নয়, সঙ্গে
সঙ্গে তাদের মন মানসিকতাগুলোর পরিবর্তন করা, তাদের কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাদের কিছু
শিক্ষা দেওয়া এবং যাতে ভবিষ্যতে আবার বের হয়ে একই অপরাধে আবার যেন জড়িয়ে না পড়ে।”

২০০৭
সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে নিজের গ্রেপ্তারের কথা তুলে ধরে শেখ
হাসিনা বলেন, “আমরা রাজনীতি করি। আমাদের ক্ষমতার চেয়ার এবং কারাগার খুব পাশাপাশি
থাকে। ২০০৭ এ যেটা হয়েছে.. সবার আগে আমাকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কাজেই সেটা আমরা
জানি রাজনীতি করতে গেলে এটা করতেই হবে। সেই জন্য আমরা কারাগারগুলোর উন্নতিও করে
যাচ্ছি।”

জাতির
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারাজীবনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, “জাতির
পিতার জীবনের অনেকটা সময় কারাগারে কাটাতে হয়েছে অত্যন্ত মানবেতরভাবে। কাজেই কারাগারের
সঙ্গে সব সময় আমাদের একটা সম্পর্ক। ছোট বেলা থেকেই কারাগারে যাই এবং সেখানকার ভালোমন্দ
অনেক কিছু জানারও সুযোগ হয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই ব্যবস্থাগুলো
নিয়েছি।”

কেরানীগঞ্জে
মহিলা কারাগারটি যথেষ্ট উন্নত মানের করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের
কারারক্ষীদের কোনো পোশাক ছিল না, কোনো ট্রেইনিং ছিল না, তাদের নিরাপত্তারও কোনো
ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি তাদের থাকারও ভালো ব্যবস্থা ছিল না। নতুন কারাগারে সেই
ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে।”

প্রত্যেক
জেলার কারাগারগুলোকে উন্নত করার পাশাপাশি মহামারীকালে বিচার অব্যাহত রাখতে ভার্চুয়াল
কোর্টের ব্যবস্থা করা কথাও বলেন তিনি।

“যেহেতু
ডিজিটাল বাংলাদেশ আর এখন এই করোনার সময় কোর্ট চালানো মুশকিল। আমরা এজন্য
ভার্চ্যুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করেছি। কেরানীগঞ্জের কারাগারে ইতোমধ্যে কোর্টরুম
তৈরি করা হয়েছে।”

এভাবে
জেলা কারাগারগুলোতেও কোর্টরুম চালু করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

নবনির্মিত
২০টি ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আগুন লাগার ফলে আমাদের
দেশের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু আমাদের সমস্ত উপজেলা বা এলাকায় এলাকায়
কিন্তু ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নাই। খুব অল্প, সীমিত সংখ্যক ছিল। সেও জেলা ভিত্তিতে।

ঢাকায়
বার্ন ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেই সাথে প্রত্যেকটা
উপজেলায় একটা করে ফায়ার স্টেশন করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের ৪৫৬টা
করা হয়ে গেছে, আজকে ২০টা চালু করব।”

দুর্গম
এলাকায় ফায়ার স্টেশন করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।  

ঢাকা
শহরে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার সময় ভবনের নিরাপত্তা, অগ্নি নির্বাপন
ব্যবস্থা রাখার বাধ্যবাধকতা আরোপের কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।