ঝ্যাং ঝান নামের ওই নাগরিক সাংবাদিক ‘ঝগড়া বাধানো ও সমস্যা উসকে’ দেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
চীনে সরকারবিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রায়ই এ অভিযোগ আনা হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
৩৭ বছর বয়সী ঝ্যাং মে মাসেই আটক হয়েছিলেন; আটক অবস্থায় অনশনও করেছিলেন সাবেক এ আইনজীবী।
উহানে প্রাদুর্ভাব নিয়ে প্রতিবেদন করে তার মতো আরও কয়েকজন নাগরিক সাংবাদিকও চীন সরকারের রোষানলে পড়েছে।
তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে উহানের প্রাদুর্ভাব নিয়ে প্রতিবেদন করতে সেখানে যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নারীর লাইভ স্ট্রিমিং ও প্রতিবেদনগুলো ব্যাপক শেয়ার হওয়ার পরপরই তিনি চীনা কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েন।
চীনা বেসরকারি সংস্থা নেটওয়ার্ক অব চাইনিজ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস (সিএইচআরডি) জানিয়েছে, ঝ্যাংয়ের প্রতিবেদনগুলোতে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক অন্য স্বাধীন সাংবাদিকদের আটক সংক্রান্ত খবর ও কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা চাওয়া করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর হয়রানির প্রসঙ্গ ছিল।
১৪ মে তিনি উহান থেকে নিখোঁজ হন বলে জানায় সিএইচআরডি; একদিন পর হুবেই প্রদেশের রাজধানী থেকে ৪০০ মাইল দূরে সাংহাইয়ের পুলিশ হেফাজতে তার খোঁজ মেলে।
নভেম্বরের প্রথম দিকে এ নাগরিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ‘বার্তা, ভিডিও এবং উইচ্যাট, টুইটার ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে মিথ্য তথ্য ছড়ানোর’ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়। ঝ্যাং বিদেশি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পাশাপাশি উহানের ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বাজেভাবে তথ্য ছড়িয়ে দেন বলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়।
সরকারি কৌঁসুলিরা তাকে ৪ থেকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
অবশ্য এবারই প্রথম এ নাগরিক সাংবাদিক চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঝামেলায় জড়াননি। হংকংয়ে আন্দোলনের সময় শহরটির গণতন্ত্রপন্থিদের প্রতি সমর্থন দেওয়ায় সাংহাইয়ের পুলিশ গত বছরের সেপ্টেম্বরেও ঝ্যাংকে ডেকে পাঠিয়েছিল।