ক্যাটাগরি

চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালসহ ৭ দাবিতে শাহবাগ অবরোধ

সোমবার বেলা
পৌনে ১২টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ
মোড়ের অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন সংগঠনটির দুই শতাধিক নেতা-কর্মী।

এ সময়
শাহবাগ থেকে পল্টন, কাঁটাবন, বাংলা মোটর ও টিএসসি অভিমুখী
মূল সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে
পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের বাগবিতণ্ডা হয় এবং পরে বেলা পৌনে ১টার দিকে নতুন কর্মসূচি দিয়ে তারা শাহবাগ ত্যাগ করেন।

এর
আগে সকাল ১০টা থেকে জাতীয় জাদুঘরের সামনে সাত দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি
পালন করেন আন্দোলনকারীরা।

তাদের দাবিগুলো
হল- চাকরির ক্ষেত্রে সব পদে মুক্তিযোদ্ধা
কোটা পুনর্বহাল, সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার
সুরক্ষায় আইন পাস, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচনে শহীদ বা মৃত মুক্তিযোদ্ধা
ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন প্রতিনিধিকে ভোটার করা, ১৯৭২ সালের সংজ্ঞা অনুযায়ী স্বচ্ছ তালিকা প্রণয়ণ, মুজিব কোটের পবিত্রতা রক্ষায় সিনেমা, সিরিয়াল নাটকের চরিত্রের মুজিব কোট পরা নিষিদ্ধ করাসহ মন্দ লোকদের মুজিব কোট পরার বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা
কল্যাণ ট্রাস্টের পরিত্যক্ত সম্পত্তি দখলমুক্ত করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর, টাঙ্গাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধার
সন্তান অবসরপ্রাপ্ত মেজর
 সিনহা
মোহাম্মদ রাশেদ খান এবং
এএসপি আনিসুর করিমের ‘পরিকল্পিত হত্যার’ বিচারসহ সারা দেশে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর হামলা-নির্যাতন ও জমি দখলের
বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং হাসপাতাল, সরকারি অফিস ও বিমানবন্দরসহ সব
ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ভিআইপি মর্যাদা’ দেওয়ার দাবি রয়েছে সাত দফার মধ্যে।

অবিলম্বে
এসব দাবি পূরণ করা না হলে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আবারও
শাহবাগ মোড় অবরোধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশ
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান মিয়া।

তিনি
বলেন, “জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা আজকে কর্মসূচি স্থগিত করছি। আমাদের দাবি আদায় না হলে আগামী
২৩ ফেব্রুয়ারি আবারও শাহবাগ অবরোধ করা হবে। সেদিন শাহবাগে কোনো গাড়ি চলবে না।”

সংগঠনের
মহাসচিব শফিকুল ইসলাম বলেন, “এর আগে আমরা
একই দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে আমাদের । এখন পর্যন্ত
দাবির কোনো বাস্তবায়ন না দেখে আমরা
ফের কঠোর আন্দোলনে নেমেছি। চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ৩০ শতাংশ কোটা
পুনর্বহালের দাবিতে
আমরা আন্দোলন করছি । আন্দোলনের মাধ্যমে
আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে চাই।”

বাংলাদেশ
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটি ও বিভিন্ন জেলা
শাখার নেতা-কমীরা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।