কারণ, ট্রাম্প যে বিলে সই করেছেন সেটিতে ‘দ্য তাইওয়ান অ্যাসুরেন্স অ্যাক্ট অব ২০২০’ এবং ‘টাইবেটান পলিসি এন্ড সাপোর্ট অ্যাক্ট অব ২০২০’ ও অন্তর্ভূক্ত আছে। যেখানে তাইওয়ান ও তিব্বতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার কথা বলা আছে।
চীনের বাড়তে থাকা প্রভাব মোকাবেলার জন্য তাইওয়ান যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে কোটি কোটি ডলারের অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের ওই অস্ত্র বিক্রির চুক্তি নিয়ে এর আগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন।
চীন তাইওয়ানকে তাদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া প্রদেশ মনে করে। জোর করে হলেও যেটির উপর আবার তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে বলে বিশ্বাস করে বেইজিং। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে সব সময় তাইওয়ানের পাশে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের আমলে তাদের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
পাহাড়ী অঞ্চল তিব্বতে চীনের কঠোর শাসন ব্যবস্থা নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বেইজিংয়ের সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ বেইজিং তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
১৯৫০ সাল থেকে চীন তিব্বতে কঠোর শাসন জারি করে রেখেছে। তিব্বতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অ্যাক্টে বলা হয়েছে, তিব্বতের নির্বাসিত আধ্যাত্মিক গুরু দালাই লামার উত্তরসূরি নির্বাচনের সময় যদি চীনা কর্মকর্তারা হস্তক্ষেপ করেন তবে তাদের উপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে।
নতুন ওই দুই অ্যাক্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, ‘‘চীন দৃঢ়ভাবে ওই দুই অ্যাক্টের বিরোধিতা করছে’।
তিনি বলেন, ‘‘চীন সরকার দৃঢ়ভাবে নিজেদের সার্বভৌমত্ব, প্রতিরক্ষা এবং উন্নয়নের স্বার্থ সুরক্ষায় অবিচল আছে।”