বিটিআরসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার কমিশনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বিটিআরসি প্রধান এ আভাস দেন।
সভায় রাজধানীর ঝুলন্ত তার সমস্যা নিরসন, এনটিটিএন অপারেটরদের ট্যারিফ নির্ধারণ, এনটিটিএন ও আইএসপি অপারেটরদের পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিদ্যমান নীতিমালা হালনাগাদ করাসহ টেলিযোগাযোগ ট্রান্সমিশন সেবায় ‘যুগোপযোগী’ পরিবর্তনের আভাস দিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
দেশে বর্তমানে সক্রিয় এনটিটিএন অপারেটর বিটিসিএল, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং বাহন লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সমিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানের বিভিন্ন দিক সভায় উপস্থাপন করেন।
সভায় রাজধানীর ঝুলন্ত তার সমস্যা, এনটিটিএন সেবায় টেকসই মূল্য নির্ধারণ, বিটিআরসির অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট লাইসেন্সধারীদের কার্যক্ষেত্র ও কার্যপরিধি নির্ধারণে গাইডলাইন হালনাগাদ ও নিয়মিত মনিটরিং জোরদারের দাবি জানায় অপারেটররা।
বিটিআরসি জানায়, এনটিটিএনের ট্যারিফ নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে গঠিত কমিটি কাজ করছে।
কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, “আমি ক্রমান্বয়ে সকল অপারেটরদের নিয়ে বসব, তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা হচ্ছে, ধাপে ধাপে সেগুলো চিহ্নিত করে সময়োপযোগী কার্যকরী সমাধান দেওয়া যাবে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমি এ খাতটিকে যে অবস্থায় পেয়েছি, তার চেয়ে আরও উন্নত ধাপে নিয়ে যেতে পারব বলে আমার বিশ্বাস।”
সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ সিগন্যাল অ্যান্ড টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার বানু রঞ্জন সরকার, পিজিসিবির পরিচালক মো. আশরাফ হোসেন, ফাইবার অ্যাট হোমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুর রহমান, সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ আল ইসলাম, বাহন লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক জিয়া শামসিসহ বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।