ক্যাটাগরি

সুয়ারেসকে ছেড়ে দেওয়া বার্সার পাগলামি: মেসি

তিক্ত অভিজ্ঞতা সঙ্গী করে গত মৌসুম শেষে আতলেতিকোয় যোগ দেন সুয়ারেস। তার আগে মেসি নিজেও বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন, কিন্তু ক্লাব রাজি না থাকায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও থেকে যান রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।

যেকোনো মূল্যে কাম্প নউয়ে থাকতে চেয়েছিলেন সুয়ারেস। এমনকি দলের প্রয়োজনে বদলি হিসেবে খেলতেও আপত্তি ছিল না তার। কিন্তু চুক্তির এক বছর বাকি থাকতে বাধ্য হয়ে তাকে ক্লাব ছাড়তে হয়। বার্সেলোনার সঙ্গে ছয় বছরের সম্পর্কের ইতি টেনে যোগ দেন নতুন ঠিকানায়।

বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে পারেননি মেসি। সেই সময়ই বলেছিলেন, সুয়ারেসের এমন বিদায় প্রাপ্য নয়। বড়দিন উপলক্ষে স্প্যানিশ টেলিভিশন লাসেক্সতাকে মেসির দেওয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে আবারও উঠে এসেছে সেই প্রসঙ্গ।

“এই ঘটনার আগেই আমি বার্সেলোনা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে লুইস সুয়ারেসের বিষয়টি আমার খুব খারাপ লেগেছিল, তার সঙ্গে যে ব্যবহার করা হয়েছিল, যেভাবে সে দল ছেড়েছিল; আমার কাছে যা পাগলামি মনে হয়েছিল।”

“সে ফ্রি ট্রান্সফারে গেছে…এবং এমন একটা দলে গেছে যারাও আমাদের মতো একই লক্ষ্যে লড়াই করছে।”

সুয়ারেস ছাড়াও ইভান রাকিতিস, আর্তুরো ভিদালদের মতো অভিজ্ঞদের তখন ছেড়ে দেয় বার্সেলোনা। নতুন কোচ হয়ে আসা রোনাল্ড কুমান নজর দেন নতুন ও তরুণ খেলোয়াড়দের দিকে। বদলে যাওয়া দলের সংঘবদ্ধ হতে শুরুতে কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে মানিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান মেসি।

“ড্রেসিংরুমের যে অবস্থা হয়েছিল তাতে প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছিল…নতুন ও তরুণ সব খেলোয়াড়, এদের অনেকেই ক্লাবের প্রকল্প থেকে আসেনি আর এর অর্থ তারা ভিন্ন সংস্কৃতির, তাই ড্রেসিংরুম সংঘবদ্ধ করা ছিল আরও কঠিন। তবে একটু একটু করে আমরা গুছিয়ে উঠছি।”