ক্যাটাগরি

আরও ১২০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরের পথে

সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে অন্তত ৩০টি বাস রওনা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাননি।

এদিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমরান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ১ হাজার ২০০ রোহিঙ্গা ভাসানচর এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এই প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই ঢাকায় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা স্থানান্তর নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিরোধিতাকে অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেন।

কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় থাকা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালী সংলগ্ন সাগরের দ্বীপ ভাসানচরে নেওয়া হয়।

রোহিঙ্গাদের প্রথম দল পৌঁছাল ভাসানচরে

রোহিঙ্গা স্থানান্তরে বিরোধিতা অযৌক্তিক: কাদের
 

চট্টগ্রাম হয়ে নৌবাহিনীর জাহাজে করে প্রথম দলকে পাঠানোর পর আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমালোচনার মধ্যেই সোমবার দ্বিতীয় দলকে পাঠানো হল।

বেলা ১২টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে প্রথম বহরে ১৩টি বাস রওনা হয় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। পরে রওনা হয় ১৭টি বাসের আরেকটি বহর।

স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতেই অনেক রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। আবার অনেককে সোমবার সকালে আনা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো করা হয় বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস।

স্থানীয় মুদি দোকানি আবুল কালাম জানান, সোমবার বেলা ১২টায় দ্বিতীয় বারের মতো প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৩টি বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যায় তার সামনে দিয়ে।

উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শফিক আজাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলাচলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

প্রথমবারের মতোই এবারও রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহারা দেখা গেছে।

প্রথম দফার মতো এবারও রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে হাতিয়ার ইউএনও এমরান বলেন, “কাল (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টা নাগাদ ১২শ রোহিঙ্গা ভাসানচর এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এখানে তাদেরকে গ্রহণ করার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোহিঙ্গাদের আসার বিষয়ে জানানোর পর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।”

এর আগে পুলিশের ঊধর্বতন কর্মকর্তারা ভাসানচর পরিদর্শন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান এসপি।