আইসিসি সোমবার বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করে।
২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিভাগে সাত জনের মনোনয়নের তালিকা গত মাসে প্রকাশ করেছিল আইসিসি। এরপর দর্শক ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ভোটে নির্বাচিত হলো সেরা।
দশকসেরা হতে কোহলি পেছনে ফেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জো রুট, কেন উইলিয়ামসন, স্টিভেন স্মিথ, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুমার সাঙ্গাকারাকে।
বিবেচিত সময়ে তিন সংস্করণ মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ৩৯৬ রান করেছেন কোহলি। গড় ৫৬.৯৭, অন্তত ৭০ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
এর মধ্যে টেস্টে ৮৬ ম্যাচে ৫৩.৬২ গড়ে তার রান ৭ হাজার ২৪০। সেঞ্চুরি ২৭টি। ২০৮ ওয়ানডেতে ১০ হাজার ৩৮৮ রান করেছেন ৬১.৮৩ গড়ে। সেঞ্চুরি আছে ৩৯টি। আর ৮০ টি-টোয়েন্টিতে ৫০.৩২ গড়ে রান করেছেন ২ হাজার ৭৬৮, ফিফটি ২৪টি।
পুরুষ ক্রিকেটে দশকসেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। ছবি: আইসিসি
এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি (৬৬টি) ও ফিফটি (৯৪টি) তারই। ২০১১ সালে জিতেছেন বিশ্বকাপ, ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তার নেতৃত্বেই ২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত।
দশকসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হতে স্মিথ পেছনে ফেলেন কোহলি, রুট, উইলিয়ামসন, জেমস অ্যান্ডারসন, রঙ্গনা হেরাথ ও ইয়াসির শাহকে।
বিবেচিত সময়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ৬৯ টেস্টে ৬৫.৭৯ গড়ে করেছেন ৭ হাজার ৪০ রান। ২৬টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি ২৮টি। বল টেম্পারিংয়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে গত অ্যাশেজে রানের বন্যা বইয়ে দেন তিনি। সাত ইনিংসে একশর বেশি গড়ে করেন ৭৭৪ রান। তার অতিমানবীয় পারফরম্যান্সে ২০০১ সালের পর প্রথমবার ইংল্যান্ড থেকে অ্যাশেজ জিতে ফেরে অস্ট্রেলিয়া।
পুরুষ ক্রিকেটে দশকসেরা টেস্ট ক্রিকেটার স্টিভেন স্মিথ। ছবি: আইসিসি
২০১৫ সালে আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার, একই বছর ও ২০১৭ সালে বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কারও জিতেছিলেন স্মিথ। ২০১৭ সালের শেষ দিকে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে তার রেটিং পয়েন্ট ছুঁয়েছিল ৯৪৭, যা টেস্ট ইতিহাসে ব্যাটসম্যানদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেটিং পয়েন্ট।
দশকসেরা আইসিসি স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি।
এছাড়া আইসিসির সহযোগী দেশগুলোর মধ্যে ছেলেদের দশকসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন স্কটল্যান্ডের কাইল কোয়েটজার, আর মেয়েদের দশকসেরা ইংল্যান্ডের ক্যাথেরিন ব্রুস।