ইসি
সচিব মো. আলমগীর সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে
এ কথা জানান।
তিনি
বলেন, “মেয়র পদের একজন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে
হাসপাতালের প্রথমিক তথ্য পায় ইসি। নিয়ম অনুযায়ী মেয়র পদে নির্বাচন বাতিল করে নতুন ভোট করতে হবে। তাই আপাতত চালনা পৌরসভায় মেয়র পদের ফল স্থগিত করে
পরবর্তী বিষয়ের জন্য কমিশনের নজরে আনা হয়েছে। তারা সিদ্ধান্তে নেবেন।”
সারা
দেশে আরও ২৩টি পৌরসভার সঙ্গে খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনাতেও সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়।
এ
নির্বাচনে বিএনপির আবুল খয়ের খান ছাড়াও আওয়ামী লীগের সনত কুমার বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল ও গৌতম কুমার
রায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
৬০
বছর বয়সী আবুল খয়ের খান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর
থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এর
কয়েক ঘণ্টা আগে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আবুল খয়ের খানের নির্বাচন বর্জনের কথা জানান তার প্রধান নির্বাচনী প্রতিনিধি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান।
তিনি
বলেন, নির্বাচনে ‘অনিয়মের কারণে’ ধানের শীষের প্রার্থী মো. আবুল খয়ের খান নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২০০৪
সালের নভেম্বরে চালনা পৌরসভার যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় বিএনপি
নেতা মো. আবুল খয়ের খান পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১১
সালের নির্বাচনে সাবেক মেয়র অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলের কাছে পরাজিত হন বর্তমান মেয়র
সনত কুমার বিশ্বাস।
এরপর
২০১৫ সালের নির্বাচনে এর উল্টো হয়।
সনত বিশ্বাস আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হন এবং বিএনপি
সমর্থিত প্রার্থী শেখ আব্দুল মান্নান তৃতীয় হন। ওই নির্বাচনে অচিন্ত্য
মণ্ডল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।