সোমবার বেলা ১২টায় উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে এ ১৩টি বাস রওনা হয়
বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
তবে প্রথম দফার মতো এবারও রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
গত ৪ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প
থেকে এনে এই কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বাসে করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় নৌ-বাহিনীর ঘাঁটিতে
নেওয়া হয় এবং এরপর নোয়াখালীর ভাসানচরের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
প্রথমবারের মতোই এবারও রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব,
পুলিশ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে। এই বাসগুলোর যাত্রাকালে
একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, রোববার রাতেই অনেক রোহিঙ্গাকে উখিয়ার কুতুপালং সংলগ্ন
ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। আবার অনেককে সোমবার সকালে আনা হয়। রাতেই উখিয়া ডিগ্রি
কলেজ ক্যাম্পানে জড়ো করা হয় বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস।
স্থানীয় মুদির দোকানি আবুল কালাম জানান, সোমবার বেলা ১২টায় দ্বিতীয় বারের
মতো প্রথম দফায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে ১৩টি বাস উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যেতে
দেখেছেন তিনি।
উখিয়ার স্থানীয় সাংবাদিক শফিক আজাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের
জন্য ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার
ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলা চলেও বিধি-নিষেধ আরোপ
করা হয়েছে।