সোমবার
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো
হয়েছে।
বাংলাদেশ
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন গত রোববার এ
বিষয়ে একটি নির্দেশনাও জারি করেছে।
ফ্যামিলি
টেক্স (বিডি) লিমিটেডের মোট শেয়ারের খুব কম শেয়ার এর
পরিচাকদের হাতে আছে। এর কারণ খতিয়ে
দেখতেই তদন্ত কমিটি করেছে বিএসইসি।

পুঁজিবাজারে
ফ্যামিলি টেক্সের (বিডি) মোট ৩৫ কোটি ৪১
লাখ ৬০ হাজার ৩৮৮টি
শেয়ার আছে।
ঢাকা
স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে থাকা সর্বশেষ নভেম্বর মাসের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, এই শেয়ারের মাত্র
৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ আছে
কোম্পানির পরিচালকদের হাতে।
এছাড়া
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৮ দশমিক ৪১
শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭৭ দশমিক ৫৭
শতাংশ শেয়ার আছে।
অথচ
নিয়ম অনুযায়ী কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের প্রত্যেকের হাতে অন্তত ২ শতাংশ এবং
সম্মিলিতভাবে পরিচালকদের হাতে মোট ৩০ শতাংশ শেয়ার
থাকার কথা।
এদিকে
সোমবার ফ্যামিলি টেক্স (বিডি) লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে রোববার যেখানে এ শেয়ার ২
টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন
হচ্ছিল, সোমবার তা ২ টাকা
৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
টানা
চার বছর ধরে লোকসানে আছে ফ্যামিলি টেক্স (বিডি)। ২০১৬-১৭
সালে তাদের লোকসান ছিল ১ কোটি ৪০
লাখ। ২০১৭-১৮ সালে তা
বেড়ে ২ কোটি ৪২
লাখ টাকা হয়।
এরপর
২০১৮-১৯ সালে ২
কোটি ৮১ লাখ এবং
সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫
কোটি ৩৫ লাখ টাকা
লোকসান দেখিয়েছে এ কোম্পানি।
তাদের
শেয়ার প্রতি সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৪৮
পয়সায়। ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার
বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে।
ফ্যামিলি
টেক্সের বর্তমান বাজার মূলধন ৯৯ কোটি ১৬
লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩৫৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা;
রিজার্ভের পরিমাণ ৭৫ কোটি ৭২
লাখ টাকা।