ক্যাটাগরি

মহাসড়কের পাশের জমি ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা অনুমোদন

প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের
মহাসড়ক ল্যান্ডস্কেপিং নীতিমালা- ২০২০’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ
সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “মহাসড়কের পাশে যে জমি-জমা
থাকবে সেগুলো কীভাবে ব্যবস্থাপনা করা হবে, পরিকল্পনা অনুযায়ী বৃক্ষরোপণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের
বিরূপ প্রভাব হ্রাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এই নীতিমালা।

সড়কের পাশে একটি গাছ কাটলে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে।

সড়কের পাশে একটি গাছ কাটলে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে।

“মহাসড়ক
করিডোর পরিকল্পনায় ল্যান্ডস্কেপিংয়ের বিষয় বিবেচনায় রেখে ভূমি অধিগ্রহণ করা, যেমন-
রোড করব তার পাশে পানি ব্যবস্থাপনা ও গাছ রোপণ করা যায়, ওই অনুযায়ী জমি অধিগ্রহণ করবে।
মহাসড়কের পাশে জ্বালানি সুবিধাও থাকে।”

মন্ত্রিপরিষদ
সচিব জানান, বন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দীর্ঘজীবী এবং  সড়কের জন্য মানানসই গাছ মহাসড়কের পাশে লাগানো হবে।

“ভূ-প্রকৃতির
সাথে মানানসই পরিবেশ, ঐতিহাসিক ভবন, প্রত্নতাত্বিক ঐতিহ্য, জীব-বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ এলাকা
ল্যান্ডস্কেপিংয়ের সাথে সমন্বয় রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। রাস্তার মধ্যে যদি এমন কিছু
পড়ে যেটা আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত তাহলে যথা সম্ভব সেটা সেইভ করে করতে
হবে।”

আনোয়ারুল
বলেন, বনাঞ্চলে মহাসড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সংখ্যক বৃক্ষ অপসারণের বিষয়টি বিবেচনায়
রাখতে হবে এবং সেক্ষেত্রে বন্যপ্রাণি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় এনিমেল
পাসের (প্রাণি চলাচল) সুবিধা রাখতে হবে।

“সড়কের পাশে
একটা গাছ কাটলে পাঁচটি গাছ রোপণ করতে হবে। যে এলাকায় যে গাছ মানানসই বন অধিদপ্তর থেকে
সেটা ক্লিয়ার করে নিতে হবে।”

মহাসড়কে
শেয়ারিং করে বৃক্ষরোপণ করা যাবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৬০ ও ৪০ শতাংশের ভিত্তিতে
করতে হবে। যে বৃক্ষ রোপণ করবে তাকেই তা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

মোংলা বন্দর পরিচালনা-ব্যবস্থাপনায় প্রতিষ্ঠান নিয়োগ
দেওয়া যাবে

মোংলা বন্দরের
স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে
নিয়োগ দেওয়ার বিধান রেখে ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২০’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন
দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ
সচিব জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৮ সালে প্রণীত আইনগুলো বাতিল করা
হচ্ছে। এজন্য ‘মোংলা পোর্ট অথরিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৬’ এর পরিবর্তে নতুন এই আইন করা
হচ্ছে। এটি অনেকটা পায়রা বন্দর আইনের মতো।

“এখানে কতগুলো
জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেটা হল প্রয়োজনে দেশের যে কোনো স্থানে কর্তৃপক্ষের কার্যালয়
স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে আইনে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কমিটি
গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। বন্দরের বিভিন্ন এলাকা ও স্থানকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা
করা যাবে।”

মন্ত্রিপরিষদ
সচিব জানান, প্রস্তাবিত আইনে বন্দরে পণ্য বোঝাই, সংরক্ষণ, খালাস ও সরবরাহের জন্য প্রয়োজনে
প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অপারেটর নিয়োগের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।

“বন্দরের
কোনো স্থাপনা ও সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো ব্যক্তি
বা প্রতিষ্ঠানকে বিধি দিয়ে নির্ধারিত মেয়াদ, শর্ত ও পদ্ধতিতে অনুমতি দেওয়ার বিধান সন্নিবেশ
করা হয়েছে। আগের আইনে এটা ছিল না।”

আনোয়ারুল
বলেন, “টোল, রেট ইত্যাদি ফাঁকির জন্য দণ্ড, কোম্পানির অপরাধ সংগঠন, ফৌজদারি কার্যবিধির
প্রয়োগ- এগুলোও আইনে রাখা হয়েছে। এখানে যে অপরাধ হবে সেগুলো ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী
বিচার হবে, মোবাইল কোর্টেরও প্রভিশন রাখা হয়েছে।”