ক্যাটাগরি

মেয়েদের দশকসেরার পুরস্কারে পেরির জয়জয়কার

আইসিসি সোমবার বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে।

২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনা করে মেয়েদের প্রতিটি বিভাগে ছয় জনের মনোনয়নের তালিকা গত মাসে প্রকাশ করেছিল আইসিসি। এরপর দর্শক ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের ভোটে নির্বাচিত হন সেরা।

দশকসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিততে পেরি পেছনে ফেলেন স্বদেশী মেগ ল্যানিং, নিউ জিল্যান্ডের সুজি বেটস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্টেফানি টেইলর, ভারতের মিতালি রাজ ও ইংল্যান্ডের সারাহ টেইলরকে।

দশকসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হওয়ার লড়াইয়ে পেরির সঙ্গে ছিলেন ল্যানিং, সুজি বেটস, স্টেফানি টেইলর, মিতালি ও ঝুলন গোস্বামি। পেরির সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দশকসেরার মনোনয়ন পেয়েছিলেন স্বদেশী ল্যানিং, অ্যালিসা হিলি, নিউ জিল্যান্ডের সোফি ডিভাইন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়াড্রা ডটিন ও ইংল্যান্ডের আনা শ্রাবসোল।

বিবেচিত সময়ে পেরি তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৭৯ ম্যাচে করেছেন ৪ হাজার ৩৪৯ রান। উইকেট নিয়েছেন ২১৩টি, যা যেকোনো বোলারের সর্বোচ্চ।

নারী ক্রিকেটে আইসিসির দশকসেরা ক্রিকেটার এলিস পেরি। ছবি আইসিসি

নারী ক্রিকেটে আইসিসির দশকসেরা ক্রিকেটার এলিস পেরি। ছবি আইসিসি

এর মধ্যে ৬ টেস্টে ১১৪.৬০ গড়ে দুই সেঞ্চুরিতে করেছেন ৫৭৩ রান। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ২১৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন ২৬ উইকেট।

৭৩ ওয়ানডেতে ৬৮.৯৭ গড়ে তার রান ২ হাজার ৬২১। সেঞ্চুরি দুটি। উইকেট ৯৮টি। ইনিংসে পাঁচ উইকেট দুবার। আর ১০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে চার ফিফটিতে করেছেন ১ হাজার ১৫৫ রান। উইকেট নিয়েছেন ৮৯টি।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০১৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা পেরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছেন ২০১২, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২০ সালে। ২০১৭ ও ২০১৯ সালে জিতেছিলেন মেয়েদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।

এবার নারী ক্রিকেটে আইসিসির দশকসেরা ওয়ানডে ও দশকসেরা টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা পেয়েছেন ৩০ বছর বয়সী পেরি।