নগরীর বন্দর থানা এলাকা থেকে রোববার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- মহিউদ্দিন আল আজাদ ওরফে মহিন খান (২৬) ও মো. মারুফ মোল্লা (২৮)।
সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ মহিউদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এবছরের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকা থেকে আসা এক ব্যক্তি তার ব্যবহৃত ‘স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট-২০ আলট্রা’ মোবাইল সেট বিক্রির জন্য ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দেন। বিজ্ঞাপন দেখে ফাহিম খান নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করে ৭৮ হাজার টাকায় সেটটি কিনে নেওয়া হয়। পরে ওই ব্যক্তি বুঝতে পারেন তাকে দেওয়া ৭৮ হাজার টাকার সবটাই জাল নোট।
এ ঘটনায় প্রতারিত ব্যক্তি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটে অভিযোগ দেন।
এর কিছু দিন পর জুলাই মাসে অন্য এক যুবক ‘ওয়ান প্লাস-৮ প্রো’ সেট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে মোবাইল বিক্রি করে একই ভাবে প্রতারিত হন।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আসিফ বলেন, দুটি অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় একই ব্যক্তি দুই ঘটনা ঘটিয়েছে।
“তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রোববার বন্দর এলাকা থেকে মহিউদ্দিনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে ফাহিম খান পরিচয় দিয়ে এ প্রতারণা করেছে বলে স্বীকার করে।”
তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই দুটি মোবাইল সেট ছাড়াও একটি ‘স্যামসাং নোট-১০ প্লাস, একটি উইন স্টার মোবাইল ও একটি ল্যাপটপ এবং ৩৪ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আসিফ বলেন, “মহিউদ্দিনের জাল টাকার উৎস খোঁজার জন্য জিজ্ঞাসাবাদে সে মারুফ মোল্রার নাম জানায়। পরে কাছাকাছি স্থান থেকে তিন লাখ টাকার জাল নোটসহ মারুফকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
তিনি জানান, মারুফ বাগেরহাট থেকে প্রতি লাখ জাল টাকা সাত থেকে আট হাজার টাকায় সংগ্রহ করেন। আর মহিউদ্দিনের কাছে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
গ্রেপ্তার দুই জনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।