প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই অনুশাসন দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “লন্ডন থেকে যারা আসবে তাদেরকে কোয়ারেন্টিনে যেতে হবে।
“লন্ডন ফ্লাইট থেকে যেই আসুক, তার যদি গতকালকেরও (রিপোর্ট) নেগেটিভ থাকে, তারপরেও তাকে কম্পোলসারি ১৪ দিনের প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিষ্কার নির্দেশনা দিয়েছেন।”
লন্ডন থেকে বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে কবে থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে, তা সোমবার রাতে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি বৈঠকে ঠিক করে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
“রাতে মিটিংয়ে ডিসিশন হবে কবে থেকে (এই নিয়ম কার্যকর হবে), সেটা জানানো হবে।”
ঢাকার দিয়াবাড়ী ও হজ ক্যাম্পে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা আছে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, “কিছু হোটেলের ব্যবস্থাও রাখা হবে।”
আনোয়ারুল জানান, লন্ডন থেকে যারা আসবেন তাদের দুটো বিকল্প দেওয়া হবে। দিয়াবাড়ী আর হজ ক্যাম্পে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন অথবা হোটেলে নিজস্ব খরচে কোয়ারেন্টিন।
আড়াই হাজার মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা সরকারের আছে বলে তিনি জানালে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এই সংখ্যাটা যথেষ্ট কি না?
জবাবে আনোয়ারুল বলেন, “আলোচনা হয়েছে কয়েকটা হোটেলকে ট্যাগ করতে। আগে থেকে নোটিফিকেশন দিয়ে অপশন দিয়ে দিলে তারা কি আমাদের কোয়ারেন্টিনে থাকবে নাকি… সিলেটে যদি আসে তাহলে সিলেটেরটা সিলেটে করা হবে।”
সরকারের কোয়ারিন্টিনে না থেকে হোটেল থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে হোটেল খরচ দিতে হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, “আমাদের যারাই সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন, অন্য কোনো অপশনই নেই।…তারা আগে থেকেই রুম অ্যালট করে দিচ্ছে, ওই রুমের বাইরে আসতে পারবেন না। নেগেটিভ হলেও হবে না, এরপরেও সেখানে তাদের থাকতে হচ্ছে। তারা আবার টেস্ট করবে।”
করোনাভাইরাস মহামারীর এক বছর পেরিয়ে আসার পর যুক্তরাজ্যে ভাইরাসটির নতুন একটি ধরন সম্প্রতি শনাক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশ দেশটির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। দেশের মধ্যে দাবি উঠলেও সরকার এখনও লন্ডনের ফ্লাইট বন্ধ করেনি।
লন্ডন থেকে যারা আসছেন, তাদের নিয়ে দেরিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হচ্ছে কি না- সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “আমরা তো যে প্রটোকল আছে, তা মানার চেষ্টা করছি।”