সোমবার বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটে খুলনা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে চিকিৎসক জানান।
তার মৃত্যুতে চালনা পৌরসভার ভোট স্থগিত
করা হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা
ডেডিকেটেড ইউনিটের প্রধান ডা. ফরিদ উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২২
ডিসেম্বর রাতে হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন আবুল খয়ের
খান।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ৩টা
৫০ মিনিটে তিনি মারা যান বলে ফরিদ জানান।
তার প্রতিনিধি এবং চালনা পৌর বিএনপির
যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই করোনাভাইরাস ধরা
পড়ে আবুল খয়ের খানের। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
তার পক্ষে দাকোপ উপজেলা, জেলা ও নগর বিএনপির
নেতারা প্রচারণায় অংশ নেন বলে মোজাফ্ফর জানান।
তিনি বলেন, ফুসফুসে মারাত্মক সংক্রমণ
হয়ে গিয়েছিল। প্রার্থীর মৃত্যুর শোক সংবাদ জানিয়ে চালনা পৌরসভায় মাইকিং হয়েছে।
আবুল খয়ের খুলনার দাকোপ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী
খান পরিবারের সন্তান এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। চালনা পৌরসভার প্রথম প্রশাসক
ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তার একমাত্র মেয়ে ঢাকার মুগদা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে সোমবার বেলা
পৌনে ২টায় ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে
আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান।
এর দেড় ঘণ্টা পরই প্রার্থীর মৃত্যুর খবর আসে।