কমলগঞ্জ থানার এস আই আনিসুর রহমান জানান, লাউয়াছড়া এলাকায় সোমবার রাত ১টার দিকে এ দুর্ঘটনায়ূ অটোরিকশার আরও চার যাত্রী আহত হয়েছেন।
নিহত সন্তোষ বৈদ্যর (৪৮) বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার দুর্গাপুরে।
আহতরা হলেন- কুলাউড়া উপজেলার দিলদারপুর চা বাগানের শিশু বিউটি (৯), নিখিল শুক্ল বৈদ্য (৬৫), নারায়ণ (৪০) ও বিক্রম (৩০)। তাদের কমলগঞ্জ উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এসআই বলেন, “যাত্রীবাহী অটোরিকশাটির চালক কুয়াশার কারণে সামনে কিছু দেখতে না পেয়ে রাস্তার পাশের একটি খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালকের মৃত্যু হয়।”
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক অভিজিৎ সিনহা বলেন, পুলিশ দুর্ঘটনায় পড়া অটোরিকশার পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে চালককে মৃত পাওয়া যায়। আর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবারও জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে আবহাওয়া পর্যবেক্ষক অনিছুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, কুয়াশার সঙ্গে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে; এতে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে বেশি। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে জেলার অধিকাংশ এলাকা। বেলা গড়ালেও গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
এদিক এ শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চা শ্রমিকসহ সাধারণ কৃষকেরা; তারা খড়কুটো পুড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে কনকনে শীত উপেক্ষা করেই চা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষদের কাজে যেতে হচ্ছে।