বিবিসি জানায়, যে ব্যক্তির শরীরে এই ‘স্ট্রেইন’ শনাক্ত হয়েছে, তার বয়স কুড়ির কোটায় এবং তিনি সম্প্রতি কোথাও ভ্রমণে যাননি। বর্তমানে তিনি আইসোলেশনে আছেন।
কলোরাডোর স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, তারা ওই তরুণের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। একইসঙ্গে আর কেউ অতি-সংক্রামক ওই ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাজ্যে প্রথম করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন শনাক্ত হয়। যেটি মূল ভাইরাস থেকে ৭০ শতাংশ দ্রুত রোগ বিস্তারে সক্ষম।
ভাইরাসের নতুন ধরন শনাক্তের পর এর বিস্তার রোধে যুক্তরাজ্যে যেমন চার স্তরের কঠোর বিধিনিষেধ জারি হয়। তেমনি বিশ্বের অনেক দেশ যুক্তরাজ্যের জন্য তাদের দরজাও বন্ধ করে দেয়।
কিন্তু তাতেও এর বিস্তার পুরোপরি আটকানো যায়নি। এরই মধ্যে নেদারল্যান্ডস, ইতালি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, কানাডা, ভারতসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে ভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। তালিকায় নতুন নাম যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রে এরই মধ্যে জনগণকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে টিকা বিতরণ করছে তা মোটেও পছন্দ হচ্ছে না নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।
ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে বাইডেন বলেন, তাদের টিকাদান প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলতে ব্যর্থ হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ফাইজার/বায়োএনটেক এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে দুই কোটি মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে। মাস শেষ হতে চলল, কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ২১ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউএস সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।
আগামী ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, ক্ষমতার ১০০ দিনের মধ্যে তিনি ১০ কোটি আমেরিকানকে টিকার আওতায় আনবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন। মারা গেছেন তিন লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ। সংক্রমণ এবং মৃত্যু উভয় তালিকাতেই যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে।
এখন নতুন করে আরো সংক্রামক ভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। যদিও গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন, তাদের ধারণা, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি এরই মধ্যে দেশে বিস্তারলাভ করতে শুরু করেছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে সেটি শনাক্তের খবর মঙ্গলবারই এল।
এদিন এক বিবৃতিতে কলোরাডোর গভর্নর জারেড পলিস বলেন, শনাক্ত রোগী ডেনভারের কাছে এলবার্ট কাউন্টিতে আইসোলেশনে আছেন। গণস্বাস্থ্যকর্মীরা ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের খুঁজে বের করে পরীক্ষা করছেন। ‘‘এখন পর্যন্ত তাদের কারও শরীরে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হয়নি।”