‘গণতন্ত্র
হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বুধবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম
নগর বিএনপির কার্যালয় নাছিমন ভবনের মাঠে এ সমাবেশ হয়।
বিএনপির
কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবর রহমান শামীম সমাবেশে বলেন, “জনগণের উপর আস্থা
নেই বলে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে সরকার। ৫ জানুয়ারি
ও ৩০ ডিসেম্বর ভোটারবিহীন একতরফা কারসাজির নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণা ভরে বর্জন
করেছেন।
“বর্তমান
সরকার নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এখন নির্বাচন মানে আতঙ্ক আর বিরোধী মতের উপর
মামলা, হামলা, নির্যাতন, দিনের ভোট রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা।”
আওয়ামী
লীগ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় দাবি করে তিনি বলেন, তাই অবিলম্বে প্রহসনের
নির্বাচন বাতিল করে সরকারকে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে
সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে।
নগর
বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “ভোট ডাকাতির নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা সরকার
এখন নির্বাচনকে হাস্যরসে পরিণত করেছে।
“এ
ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণকে ধোঁকা দিয়ে তিন তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রের
লেবাসে অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগে
বাধ্য করা হবে এই সরকারকে।”
চট্টগ্রাম
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, “ভোট ডাকাতির সরকার জোর করে ক্ষমতায়
আছে। জনগণের কাঁধে বন্দুক রেখে গণতন্ত্র হরণ চলছে। এ নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের
দলীয় সংগঠন পরিণত হয়েছে।”
নগর
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী
লিটনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক মো. মিয়া ভোলা, আবদুস সাত্তার,
এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল
উদ্দিন, আবদুল হালিম শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, সদস্য নিয়াজ মোহাম্মদ
খান প্রমুখ।