মঙ্গলবার রাজধানীর
বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার দুপুরে
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সুপার খোন্দাকার নূরুন্নবী
একথা জানান।
তাদের কাছ
থেকে ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার এবং একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
গ্রেপ্তাররা
হলেন বরগুনার তালতলী উপজেলার পঞ্চকরালিয়া (পচা কোরালিয়া) হাওলাদার বাড়ির ময়েজ উদ্দিন
হাওলাদারের ছেলে মো. জাকির হোসেন (৩৮), বগুড়া সদরের জেলাদার পাড়া পুরান বগুড়ার মো.
ইব্রাহিম আকন্দের ছেলে মো. সবুজ মিয়া (৫০) ও পাবনার চাটমোহরের চৌরইকুল সরকার বাড়ির
মো. আবু জাফরের ছেলে মো. ইমরান নাজির (৩৮)।
তারা সবাই ঢাকার
বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছিল।
এসপি খোন্দাকার
নূরুন্নবী বলেন, ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকের সত্ত্বাধিকারী মো. আবু জাফর শাহীন গত
২১ অক্টোবর ইসলামী ব্যাংক দাগনভূঞা শাখা থেকে নগদ ২৭ লাখ ৬১ হাজার পাঁচশত টাকা উত্তোলন
করে সোনাগাজীর কুঠিরহাট এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় নিয়ে যাচ্ছিলেন।
“পথে দাগনভূঞার
বেকের বাজার উত্তর আলীপুর সৌদিয়া মসজিদের সামনে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে একদল লোক জোরপূর্বক
আবু জাফর শাহীনকে প্রাইভেটকারে তুলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার দয়াপুর নিয়ে যায়। তার
কাছ থেকে ২৭ লাখ ৬১ হাজার পাঁচশত টাকা লুট করে নিয়ে তাকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে
ফেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।”
ওই ঘটনায় আবু
জাফর শাহীন বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে এসপি জানান।
জেলা গোয়েন্দা
পুলিশের পরিদর্শক (ডিবি) এ এন এম নুরুজ্জামান জানান, ডাকাত দল ঢাকাসহ আশপাশের জেলায়
বিভিন্ন ব্যাংকের সামনে অবস্থান করে প্রতিনিয়ত ডাকাতি সংগঠিত করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে
দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।