বুধবার চট্টগ্রামের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হকের আদালতে এই অভিযোগ গঠন করা হয়।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আইয়ুব খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগ গঠন করে আদালত আগামী ৫ জানুয়ারি সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ঠিক করেছে।
আসামিদের মধ্যে একজন পলাতক ও বাকিরা জামিনে আছেন বলে জানান তিনি।
মহিউদ্দিন মহিদ
২০১৮ সালের ২২ জুলাই হাজি ইকবাল, তার ছেলে, মেয়েজামাই ও ভাইসহ ২০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছিল পুলিশ।
নগরীর হালিশহরে স্থানীয় মেহের আফজল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী উপলক্ষে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ দুপুরে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে বৈঠক চলাকালে মহিউদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবারের দাবি, হাজি ইকবালের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল গিয়ে মহিউদ্দিনকে খুন করে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে পালিয়ে যায়।
হাজি ইকবাল
হাজি ইকবাল এক সময় বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য আট বছর আগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবেই নিজের পরিচয় দেন।
তারা জানান, বছরখানেক আগে হাজি ইকবাল মেহের আফজল স্কুলের এক শিক্ষককে ছুরিকাঘাত করেছিলেন। সে সময় মহিউদ্দিন ওই স্কুলশিক্ষকের পক্ষ নেওয়ায় হাজি ইকবালের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। সেই বিরোধের জেরে মহিউদ্দিন খুন হয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিহত মহিউদ্দিনের মা হাজী ইকবালসহ ১৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।