১৬ বছর বয়সী এই কিশোরী জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার
কাচারীপাড়া মহল্লার গোলাম মোস্তফার মেয়ে।
মায়ের সঙ্গে খাসজমিতে থাকে সে।
তার মা হাওয়া বেগম বলেন, “মেহেরনাজ সাত বছর বয়স
থেকে ভারসাম্যহীন আচরণ শুরু করে। তার বাবা বেঁচে থাকার সময় সাধ্যমতো চিকিৎসা করাত।
তার মৃত্যুর পর থেকে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে।”
তবে কী ধরনের সমস্যা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে
পারেননি।
হাওয়া বেগম বলেন, তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মোস্তফা ২০১১ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলে বিপাকে পড়েন
তারা। তিন মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে বিয়ে করে আলাদা সংসার করছেন।
“ছেলেদেরই সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। সহায়-সম্বল
বলতে কোনো কিছুই নেই। দুই শতাংশ খাসজমিতে একটি ঘর বানিয়ে থাকি। বয়স ও অসুস্থতার কারণে
কাজ করতে পারি না। বর্তমানে শেকলে বাঁধা মেয়েকে নিয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন করছি। প্রতিবেশীরা
যা দেয় তাই খেয়ে দিন চলছে।”
হাওয়া বেগম অভিযোগ করেন, “১০ টাকা চালের কার্ড
চেয়ে আবেদন-নিবেদনও করলেও তা জোটেনি। বিধবা ভাতা বা প্রতিবন্ধী মেয়ের জন্যও কোনো ভাতা
পাই না।”
ঝিনাইগাতী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোফাজ্জল
হোসেন চাঁন বলেন, “এখন কোনো কিছু দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি সাহায্য আসলে দেওয়া হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ
‘খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’ বলে জানিয়েছেন।