একইসঙ্গে
দীর্ঘদিন ধরে চলা মামলার অভিযোগপত্র দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
এ
বিষয়ে আলোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং সংশ্লিষ্ট সচিবকে
কমিটির আগামী বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক
শেষে কমিটির সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজকের মিটিংয়ে
এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আরও বিস্তারিত ফলপ্রসূ আলোচনা করতে চাই। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
কমিটির
সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, “অনেক মামলা বছরের পর বছর ধরে চলে, চার্জশিট দেওয়া হয় না।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়ার সময় ৭৭ বার পিছিয়েছে। এগুলো নিয়ে আলোচনা করার
জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।”
বিএনপির
এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, “অনেক মামলায় বেশি সংখ্যক আসামি করা হয়। শত শত আসামি করারও
ঘটনা আছে। ফাইনাল চার্জশিট দেওয়ার আগে এত আসামির হাজিরা অব্যাহতি দেওয়া যায় কিনা সে
বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।”
বৈঠকে
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলবদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে একটি কমিশন
গঠনের সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া
ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে ডিএনএ ল্যাব বাড়ানো এবং ডোপ টেস্টের জন্য পর্যাপ্ত ল্যাব গঠনের
সুপারিশ করা হয়।
বিচার
দ্রুত শেষ করতে পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগেরও সুপারিশ করেছে কমিটি।
কমিটির
সভাপতি আব্দুল মতিন খসরুর সভাপতিত্বে সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, মো. শামসুল হক টুকু,
আব্দুল মজিদ খান, শহীদুজ্জামান সরকার, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, রুমিন ফারহানা, খোদেজা
নাসরিন আক্তার হোসেন বৈঠকে অংশ নেন।