এর মধ্যে ভারি তুষারপাতে ব্যাহত হচ্ছে নববর্ষের আয়োজন। তুষারপাতের কারণে জাপানে বৃহস্পতিবার কয়েকটি এলাকায় বহু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
মহামারী আর তুষারপাতের দ্বৈত সংকটের কারণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা এবার লোকজনকে নতুন বছর নীরবেই পালন করা এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানায়, জাপান এয়ারলাইন্স এবং নিপ্পন এয়ারওয়েজ মোট ১৪০ টি ফ্লাইট বাতিল করেছে কিংবা বাতিলের পরিকল্পনা করেছে। বুলেট ট্রেন চলাচলও কয়েকটি স্থানে স্থগিত করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন ধরণ দেখা দেওয়ার পর জাপান গত সোমবার থেকে বিদেশিদের দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে শুরু করেছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বাড়তে থাকলে জাপান সরকারকে জরুরি অবস্থা জারির কথাও বিবেচনা করতে হতে পারে বলে বুধবারেই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ইয়াশুতোশি নিশিমুরা।
জাপানের ‘ইম্পেরিয়াল হাউজহোল্ড এজেন্সি’ ২ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নববর্ষের উৎসব বাতিল করেছে। ওই উৎসবে শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করার কথা ছিল সম্রাট নারুহিতো ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের।
টোকিওর গভর্নর কোভিড-১৯ এর দৈনিক রেকর্ড সংক্রমণে মহামারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়ে লোকজনকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজধানী টোকিও’র করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রী সুগা স্বাস্থ্য ও অর্থমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
জাপানে মহামারীর শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে প্রায় ২৩১,০০০ জনের এবং মারা গেছে প্রায় ৩,৪০০ জন।