ঘরের মাঠে বুধবার রাতে লা লিগার ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে
নবাগত এলচে। লুকা মদ্রিচের গোলে রিয়াল এগিয়ে যাওয়ার পর সমতা টানেন ফিদেল।
লা লিগায় টানা পাঁচ ও সব প্রতিযোগিতা মিলে টানা ছয় জয়ের পর পয়েন্ট হারাল
রিয়াল।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন টনি ক্রুস। কিন্তু
ছয় গজ বক্সের বাইরে ফাঁকায় ক্রস পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড মারেন তিনি। দশম মিনিটে পাল্টা
আক্রমণে ভীতি ছড়ায় এলচে। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে এমিলিয়ানো রিগোনির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে
কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান থিবো কোর্তায়া।
তিন মিনিট পর ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি রিয়াল। একাদশে ফেরা মার্সেলো জোরালো
শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও ক্রসবারের বাধা এড়াতে পারেননি।
২০তম মিনিটে মার্কো আসেনসিওর দূরপাল্লার শটে বল লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষকের
হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে বাধা পায়। তবে ফিরতি বল ছুটে গিয়ে হেডে জালে জড়ান মদ্রিচ। চোট কাটিয়ে
ফেরা ক্রোয়াট মিডফিল্ডারের আসরে এটা তৃতীয় গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা টানেন ফিদেল। ডি-বক্সে
আন্তোনিও বারাগানকে ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল টেনে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন
রেফারি।
৬৩তম মিনিটে আবারও বিপদে পড়তে যাচ্ছিল রিয়াল। তবে লুকাস বোয়ের নিচু শট
পোস্টের বাইরের দিকে লাগলে বেঁচে যায় সফরকারীরা। খানিক পর এক মিনিটের ব্যবধানে দারুণ
দুটি সুযোগ পেয়েছিল রিয়াল; কিন্তু গোলরক্ষকের বাধা টপকাতে পারেনি তারা। কারভাহালের
শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেওয়ার পর কাছ থেকে সের্হিও রামোসের শটও ঠেকিয়ে দেন বাদিয়া।
রিয়ালের দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সে ছন্দের অভাব ছিল। সেই সুযোগে আত্মবিশ্বাসী
হয়ে ওঠে এলচে। তাদের রক্ষণ জমাট রেখে প্রতি-আক্রমণে ভীতি ছড়ানোর কৌশল কার্যকর প্রমাণিত
হয়। এমনকি জয়ও পেতে পারতো দলটি।
শেষ পাঁচ মিনিটে রিয়াল চাপ ধরে রাখলেও নিশ্চিত কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি
তারা। উল্টো একেবারে শেষ সময়ে কোর্তোয়ার নৈপুণ্যে হার এড়ায় শিরোপাপ্রত্যাশীরা। গনসালো
ভের্দুর ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে ঠেকান বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
১৬ ম্যাচে ১০ জয় ও তিন ড্রয়ে ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে রিয়াল।
১৪ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে উঠেছে এলচে।
এর আগে লুইস সুয়ারেসের একমাত্র গোলে গেতাফেকে হারানো আতলেতিকো মাদ্রিদ
১৪ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।
১৬ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রিয়াল সোসিয়েদাদ। পরের দুটি স্থানে
থাকা সেভিয়া ও ভিয়ারিয়ালের পয়েন্টও ২৬। তবে সেভিয়া খেলেছে ১৪ ম্যাচ।
১৫ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে বার্সেলোনা।