বৃহস্পতিবার
সকালে সদর উপজেলার জাহানপুরের তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে
জানিয়েছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এএনএম নুরুজ্জামান।
গ্রেপ্তার
শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
পুলিশের
পরিদর্শক নুরুজ্জামান আরও জানান, দরপত্র দিতে গিয়ে অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় গত ২৭
ডিসেম্বর ঠিকাদার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়াসহ
আটজনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছেন।
ওই
মামলায় পুলিশ ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়ন জাহানপুরের পাটোয়ারী বাড়ির মো.
খোরশেদ আলমের ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে সম্রাট (২৪), মোয়াজ্জেম বাড়ির আবুল কাশেমের
ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২০), সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের জোয়ারকাছাড়ের সাহাব
উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহাম্মদের ছেলে কামরুল হাসান ওরফে সাব্বির (২৩) এবং ফেনী
শহরের পূর্ব উকিলপাড়ার শাহাদাত হোসেনের ছেলে মো. রাসেল হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার
করেছে।
এদের
মধ্যে শফিকুল ইসলাম ওরফে সম্রাট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দিয়েছেন। গ্রেপ্তার এই চারজন বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
গ্রাম
পুলিশের পোশাক সরবরাহের জন্য ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নেওয়ার
জন্য ‘মাটি আর মানুষ’ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র দাখিল করতে গত
রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান ঠিকাদার খলিলুর রহমান।
এ সময়
কয়েকজন অপরিচিত যুবক কৌশলে জোরপূর্বক সেখান থেকে তাকে অপহরণ করে জেলা প্রশাসকের
কার্যালয়ের উল্টোদিকে এক কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যান।
সেখানে
তারা তার উপর নির্যাতন চালায়, মোবাইল কেড়ে নেয় এবং দরপত্র দাখিল না করতে হুমকি
দেন।
পরে
শর্শদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানে আলম ভূঁইয়া তার কাছ থেকে দরপত্রের কাগজপত্র
জোরপূর্বক নিয়ে যায়।
খবর
পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সন্ধ্যায় কমিউনিটি সেন্টার থেকে তাকে উদ্ধার করে।
চারজনকে আটক করে পুলিশ।
অপহৃত
ঠিকাদার খলিলুর রহমান টাঙ্গাইলের ধরবাড়ী উপজেলার ইসপিরাজপুরের বাসিন্দা। তিনি
ঢাকায় ব্যবসা করেন।
