এ নিয়ে মামলায় মোট
৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
বৃহস্পতিবার ঢাকার
১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের কাছে তারা
সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্যে অধ্যাপক আদুল
আদনান বলেন, আবরার হত্যার খবর জানতে পেরে তিনি ঘটনাস্থলে যান। হলের প্রাধ্যক্ষসহ সেখানে
আরও শিক্ষক ছিলেন। সেখানে তিনি আসামি জিয়ন ও রবিনকে দেখতে পান। পরে তিনি প্রাধ্যক্ষের
কার্যালয় কক্ষে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাহারার দায়িত্বে ছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান
বলেন, সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণের কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক এবং ধারণ করা ৭২টি ছবি তিনি
সংগ্রহ ও উদ্ধার করেন। সে সব ছবি থেকে ১৯ জন আসামিকে শনাক্ত করেন।
সাক্ষ্য শেষে আসামিপক্ষের
আইনজীবীরা তাদের জেরা করেন। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৫ জানুয়ারি দিন রেখেছেন বিচারক।
ফেইসবুকে স্ট্যাটাস
দেওয়ার জের ধরে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয়
বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত বছর ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন
চালিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার আসামিরাও সবাই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভিন্ন
বর্ষের শিক্ষার্থী।
ছেলের মৃত্যুর পরদিন
আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল
করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্তদের মধ্যে
এজাহারে নাম থাকা ১৯ জনের সঙ্গে আরও ছয়জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের
মধ্যে ১৭ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের
মধ্যে আটজন হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
দিয়েছেন।
গ্রেপ্তার ২২ জন হলেন-
মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো.
মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর
রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা,
মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ
মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মোর্শেদ অমত্য
ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু।
মামলার তিন আসামি এখনও
পলাতক আছেন। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ।
তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।
ঢাকার দ্রুত বিচার
ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান গত ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে
অভিযোগ গঠন করেন।