চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম
সরোয়ার জাহান বৃহস্পতিবার ওই মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে তাদের
মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
রনির আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আইন
বিষয়ক সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০১৮ সালে
বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খান রনিসহ সাত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ২০ লাখ
টাকা চাঁদা দাবির মামলা করেন।
“তদন্ত কর্মকর্তা মামলায়
চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় আদালত তা গ্রহণ করে সাত ছাত্রলীগ নেতাকে মামলা থেকে অব্যাহতি
দিয়েছেন।”
রনি ছাড়া মামলার অপর
আসামিরা হলেন- মুজবির রহমান রাসেল, তানভীরে মেহেদী মাসুদ, নেওয়াজ শরীফ অমি, আরিফুর
রহমান মাসুদ, আব্দুর রায়হান কিরণ ও নুরুল হুদা মিঠু।
২০১৮ সালে চট্টগ্রামের
বেসরকারি বিজ্ঞান কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঁচ হাজার টাকা উন্নয়ন ফি ধরে কলেজ
কর্তৃপক্ষ। ফি না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রাখায় কলেজের সামনে অবস্থান
নেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। তাদের সামনেই সড়কে হাতবোমা বিস্ফোরণ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির
সৃষ্টি হয়।
ওই দিন উত্তেজনাকর
পরিস্থিতির মধ্যে কলেজ অধ্যক্ষ ‘জাহেদ খানকে চেম্বারে প্রবেশ করানোর এক পর্যায়ে তার
শরীরে আঘাত’ করার কথা স্বীকার করে পরে এক বিবৃতিতে এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেন নুরুল আজিম
রনি।
চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে ছাত্রলীগ নেতা রনি
বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের বিরুদ্ধে
৩১ মার্চের ওই ঘটনার
পর সে রাতে নগরীর চকবাজার থানায় বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ খানের বিরুদ্ধে প্রতারণার
মামলা করেন রনি।
এরপর ৪ এপ্রিল রাতে
চকবাজার থানায় রনিসহ সাত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে
মামলা করেন জাহেদ খান। এই মামলায় কারাগারেও যেতে হয় নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
নুরুল আজিম রনিকে।
নগর ছাত্রলীগের সাধারণ
সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালে নুরুল আজিম রনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্ধিত ফি
বিরোধী অন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার আন্দোলনের কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ওই সময় বর্ধিত ফি ফেরৎ দিতেও বাধ্য হয়েছিল।
বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষের
করা চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলায় গত বছরের অক্টোবর মাসে পুলিশ আদালতে প্রতিবেদন জমা
দেয়। ওই মামলায় চাঁদাবাজির অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার কথা জানানো হয় প্রতিবেদনে।