বিবিসি জানায়, এ বছর শানশানের সম্পদ বেড়েছে ৭শ’ কোটি মার্কিন ডলার; সেখানে বাকি দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আম্বানি এবং জ্যাক মা’র সম্পদের পরিমাণ সেভাবে বাড়েনি।
ব্লুমবার্গ কোটিপতির সূচক অনুযায়ী, ৭,৭৮০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে এশিয়ার শীর্ষ এবং বিশ্বের ১১তম শীর্ষ ধনী হয়েছেন শানশান।
‘লোন উলফ’ নামে পরিচিত ঝোং শানশান সাংবাদিকতা, মাশরুম, চাষাবাদ, স্বাস্থ্য পরিষেবা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে তার ব্যবসার পরিধি বাড়িয়েছেন।
গত এপ্রিলে শানশান টিকা-প্রস্তুতকারক সংস্থা বেইজিং ওয়ানতাই বায়োলজিক্যাল কোম্পানির ভার নেন এবং তা চীনের শেয়ারবাজারেও নথিভুক্ত হয়। এর তিন মাস পর শানশানের বোতলজাত পানি তৈরি কোম্পানি নংফু স্প্রিং হংকংয়ের বাজারে নথিভুক্ত হয়।
বোতলের পানি বিক্রি করেই চীনের শীর্ষ ধনী
নংফু স্প্রিং এর সাফল্যে গত সেপ্টেম্বরেই ই-কমার্স কোম্পানি আলিবাবার কর্ণধার জ্যাক মা’কে ছাড়িয়ে চীনের শীর্ষ ধনীর তকমা পেয়েছিলেন ব্যবসায়ী চোং শানশান।
তখন থেকেই নংফু স্প্রিংয়ের শেয়ার আরও লাফিয়ে বেড়েছে। আর সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে বেইজিং ওয়ানতাই বায়োলোজিক্যাল কোম্পানির বাড়তি শেয়ার। কোভিড-১৯ টিকার তৈরি কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে এ কোম্পানিও।
দু’য়ে মিলেই মূলত ঝোং শানশানের সম্পদ অভাবনীয়রকম বেড়ে তিনি উঠে এসেছেন এশিয়ার শীর্ষ ধনীর স্থানে।
চীনে সাধারণত প্রযুক্তিশিল্পে জড়িতরাই নতুন শীর্ষ ধনীর তকমা পান। গত ছয় বছর ধরে এই তকমা পেয়ে এসেছন জ্যাক মা।
কিন্তু হুয়াওয়ে, টিকটক এবং উইচ্যাট নিয়ে সম্প্রতি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চীনের প্রযুক্তি শেয়ারের মূল্য পড়ে যাওয়ায় জ্যাক মা’র অবনমন ঘটেছে।
অন্যদিকে, করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে ভারতের ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার পড়ে যাওয়ায় এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসন থেকে ছিটকে গেছেন তিনিও।