বৃহস্পতিবার পরিত্যক্ত ও
ভাংচুর করা অবস্থায় ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হলেও মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়নি বলে সদর
থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান।
গ্রেপ্তার লুৎফর
রহমান লাল নিশিন্দারা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য।
এই ঘটনায় সময় টিভির
বগুড়া প্রতিনিধি মাজেদ রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।
হামলার শিকার দুই
সাংবাদিকের অভিযোগ, লুৎফর রহমানের সঙ্গে দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলার পর তিনি মোবাইলে কার
সঙ্গে যেন কথা বলেন। এরপর একদল লোক এসে তাদের উপর হামলা চালায়।
ওই সময় লুৎফর
রহমান কোনো প্রতিবাদ বা তাদের বাধা দেননি বলেও এই দুই সাংবদিক অভিযোগ করেন।
বুধবার দুপুরে বগুড়া
সদরের দশটিকায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ‘অনিয়মের’ সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া
দুই সাংবাদিক সময় টেলিভিশনের রিপোর্টার মাজেদ রহমান ও ক্যামেরা পার্সন রবিউল ইসলাম হামলার শিকার হন। তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করা হয়।
ওসি হুমায়ন কবির বলেন,
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার হামলার শিকার মাজেদ রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
মামলায় লুৎফর রহমানসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ১০/১২ জনকে
আসামি করা হয়েছে।
“মামলা দায়েরের পর ইউপি
সদস্য লুৎফর রহমানকে শহরের দশটিকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আশ্রয়ণ
প্রকল্পের একটি ঘর থেকে পরিত্যক্ত ও ভাংচুর করা অবস্থায় ক্যামেরাটিও উদ্ধার করা হয়েছে।
মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা করা চলছে।”
এই বিষয়ে টেলিভিশন
সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি জিএম সজল বলেন, ভাংচুর করা ক্যামেরা উদ্ধার করেছে পুলিশ;
কিন্তু মেমোরি কার্ড পাওয়া যায়নি।
প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন
এদিকে, দুই সাংবাদিককে মারধর ও ক্যামেরা-মোবাইল
ছিনতাই ঘটনার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন
স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বগুড়া টেলিভিশন
সাংবাদিক ইউনিটির আয়োজনে শহরের সাত মাথায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় এই কর্মসূচি
পালিত হয়।
মানববন্ধনে বগুড়ার
সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়ায় দুই সাংবাদিককে মারপিট, ক্যামেরা-মোবাইল ছিনতাই
প্রতিবাদ সমাবেশে
বক্তারা বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর যেন কোনো সাংবাদিক না করে তার হুমকি হিসেবেই
মাজেদ রহমান ও রবিউলকে মারপিট করা এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বক্তারা এই ঘটনায়
দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্রয়ণ
প্রকল্পে নিম্নমানের ইট, বালু, সিমেন্ট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং এই অনিয়মের সংবাদ
করতে যাওয়ায় এই দুই সাংবাদিকের উপর হামলা করা হয়েছে বলে বক্তাদের অভিযোগ।
তারা বিভাগীয় কমিশনারের
মাধ্যমে তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ৪৮ ঘণ্টারর মধ্যে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার
দাবি জানান; অন্যথায় বিচারের দাবিতে প্রধানমন্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার হুমকি
দেন।
সমাবেশে বিএফইউজের
যুগ্ম সম্পাদক ও টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি জি এম সজলের সভাপতিত্বে বক্তব্য
রাখেন ইনডিপেনডেন্ট টিভির উত্তরাঞ্চল প্রধান হাসিবুর রহমান বিলু, এটিন নিউজের চপল
সাহা, বাংলাভিশনের আব্দুর রহীম, যমুনা টিভির রিপোর্টার ও টেলিভিশন সাংবাদিক
ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মেহেরুন সুজন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মির্জা সেলিম
রেজা, ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মমিনুর রশীদ শাইন, বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধি জিয়া শাহীন প্রমুখ।