তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন মূল্যায়নের ৭৬টি সূচকের মধ্যে ৬৫টিতে শতভাগ সফলতা অর্জন করে আইসিটি বিভাগ সেরা হয়েছে।
দক্ষতা ও দায়বদ্ধতার এমন নজির স্থাপন করায় আধা-সরকারি পত্রের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রবর্তন করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিকনির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানের কারণেই এ সফলতা অর্জন সম্ভব হয়েছে।”
বিশ্বের অনেক দেশ থেকে বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে আছে জানিয়ে পলক বলেন, “বিগত ১২ বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যথাযথ অবকাঠামো গড়ে উঠার কারণে কোভিড-১৯ মহামারীতেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, আদালত ও সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।
“দেশে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পরপরই সব কিছু স্বাভাবিক রাখতে বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়। এছাড়াও মহামারী মোকাবেলায় করোনা বিডি অ্যাপ এবং কন্টাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ, করোনা পোর্টাল, করোনা হেল্পলাইন ৩৩৩, টেলি-হেলথ সেন্টার, টেলিমেডিসিন নেটওয়ার্ক, প্রবাস বন্ধু কলসেন্টারসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আইসিটি বিভাগ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত ‘দুর্বার গতিতে’ এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও ফ্রিল্যান্সাররা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। বর্তমানে রাজধানীর সাথে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সকল এলাকার মধ্যে ডিজিটালি কোনো দূরত্ব নেই।”