বৃহস্পতিবার দুপুরে
নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি ।
সরকার দেশ ধ্বংস করে
দিচ্ছে বলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিএনপি এতদিন সবকিছুতে
না ছাড়া কিছুই দেখতে পেত না। এখন সবকিছুতে দেখতে পায় ধ্বংস আর ধ্বংস। সরকার নাকি গণতন্ত্র,
অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে, এমনকি দেশও ধ্বংস করে দিয়েছে।
“আমরা বলতে চাই, ধ্বংস
নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলছে এক সৃষ্টিশীল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মহাযজ্ঞ। চলছে সমৃদ্ধির
সোপানে নতুন উচ্চতা নির্মাণের নিরলস প্রয়াস। যাদের হাত ধরে এসেছে স্বাধীন বাংলাদেশ,
তারা ধ্বংস নয়, এদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যেই কাজ করছে অবিরাম।”
যারা স্বাধীন স্বদেশ
চায়নি, এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা তারাই সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে
তারাই এখন দেশের ধ্বংস চায়, দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়।
দেশে স্বৈরতন্ত্র নয়,
গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ আর বাক-স্বাধীনত আছে জানিয়ে কাদের বলেন, “এজন্যই বিএনপি
প্রতিনিয়ত সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারছে, পারছে অবিরাম বিষোদগার করতে। গণতন্ত্র
আছে বলেই সভা-সমাবেশ করতে পারছে।”
বিএনপির শাসনামলে বিরোধীদলের
কর্মীদের ওপর নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আপনারা
যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন আমরা আমাদের অফিসের সামনে একুশে ফেব্রুয়ারির আলোচনা সভা করতে
পারিনি। নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছিল। রাজপথে আমরা দাঁড়াতে গেলে অত্যাচারের স্টিম
রোলার নেমে আসত। আমাদের সিনিয়র নেতাদের পর্যন্ত রাজপথে লাঠিপেটা করা হয়েছিল। অন্তঃস্ত্ত্বা
নারীকে পর্যন্ত তারা ছাড় দেয়নি। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই নিয়মিত নির্বাচন-উপনির্বাচন
হচ্ছে এবং বিএনপিও নিয়মিত অংশ নিতে পারছে, জয়লাভও করছে।”
গণতন্ত্র একটি বিকাশমান
প্রক্রিয়া এবং রাতারাতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এর জন্য
প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন পরিচর্যার। আর এই গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে বিএনপি কোনো দায়িত্বশীল
ভূমিকা তো রাখেইনি বরং পদে পদে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
বিএনপি এবং তাদের মিত্রদের
ধ্বংসাত্মক রাজনীতির ধারক-বাহক আখ্যা দিয়ে কাদের বলেন, নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিএনপি
জনরায় পাবার আগেই ফল প্রত্যাখ্যান করেছে, যা প্রকারান্তরে জনগণের রায়কেই অপমান করা।
তারা ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে আর বলছে সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। আসলে দেশের
গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে বিএনপির নেতিবাচক ও অতি ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতি প্রধান
অন্তরায়।”
মহামারীতে শেখ হাসিনার
মানবিক এবং দূরদর্শি নেতৃত্বের কারণে অর্থনীতি এবং জীবিকার সুরক্ষা রক্ষায় নজিরবিহীন
পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পাওয়া বিএনপির কষ্টের কারণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আসলে
তাদের সমস্যা মনস্তাত্ত্বিক। তারা সৃষ্টিতে নয়, ধ্বংসাত্মক প্রবণতায় ভুগছে। তাদের রাজনীতিতে
সৃজনশীলতা নেই আছে, আছে কর্মসূচির নামে জনগণের প্রাণ ও সম্পদ ধ্বংসের অপপ্রয়াস। তারা
তীব্র মিথ্যাচার আর নেতিবাচকতার চক্রেই আবর্তিত হচ্ছে।
“জনগণ এখন আর সমালোচনার
কাসুন্দি ঘাঁটা পছন্দ করে না। জনগণ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চায়। আত্মনির্ভরশীল
জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চায়। আর এজন্যই বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি ও মিথ্যাচারে
জনগণ সাড়া দেয় না।”