বুধবার রাতে শহরের দক্ষিণাংশে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির এ ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর এই প্রথম মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগের একজন সদস্যের গুলিতে কারও মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনাটির তদন্ত পরিচালনার জন্য ব্যুরো অব ক্রিমিনাল অ্যাপ্রিহেনশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় বা বর্ণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বুধবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে মিনিয়াপোলিসের পুলিশ প্রধান মেডারিয়া আরাডোন্ডো বলেন, “গুরুতর অপরাধের এক সন্দেহভাজনকে ধরতে কর্মকতারা গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রাথমিক বক্তব্য অনুযায়ী, যার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছিল সে প্রথমে মিনিয়াপোলিস পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকে গুলি ছুড়ে, তখন তারাও সন্দেহভাজনের সঙ্গে গুলিবিনিময় শুরু করেন।
“চিকিৎসা কর্মীরা ঘটনাস্থলেই সন্দেহভাজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এমপিডি (মিনিয়াপোলিস পুলিশ বিভাগ) কর্মকর্তারা অক্ষত ছিলেন। সন্দেহভাজনের গাড়িতে থাকা একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীও অক্ষত আছেন।”
আরাডোন্ডো জানান, ঘটনার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বডি ক্যামেরা চালু ছিল এবং সেটির ভিডিও বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হবে।
ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী একটি পেট্রল পাম্পের কাছে প্রতিবাদকারীরা জড়ো হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ তাদের যে কোনো ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক অপরাধমূলক আচরণ’ এড়িয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরাডোন্ডো বলেন, “আমি জানি বেশ কয়েকজন (লোক) যারা ঘটনাস্থলের বাইরে ছিলেন, তারা জড়ো হচ্ছেন।
“প্রত্যেকের মুক্তভাবে সমাবেশ ও বিক্ষোভ করার অধিকার রক্ষায় আমাদের সম্ভাব্য সবকিছুই আমরা করতে চাই কিন্তু আমি আবারও বলছি, আমরা ধ্বংসাত্মক অপরাধমূলক আচরণ অনুমোদন করতে পারি না। আমাদের শহরটি বহু ঘটনার মোকাবেলা করছে।”
চলতি বছরের ২৫ মে মিনিয়াপোলিস শহরের একটি রাস্তায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েডের ঘাড়ে হাঁটু গেড়ে প্রায় নয় মিনিট পথের সঙ্গে চেপে ধরে রাখার পর তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পুলিশি বর্বরতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শহরজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়, ধীরে ধীরে প্রতিবাদ পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ও পরে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।