প্রতি
মঙ্গলবার হাজিরা দেওয়ার শর্তে ঢাকার অন্যতম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভাস্কর দেবনাথ
বাপ্পী মঙ্গলবার মাদকের মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন বলে আসামির আইনজীবী শ্রী প্রাণনাথ
বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি
বলেন, ইরফান সেলিমকে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজার
বিরুদ্ধে ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আপিল করা হয়। শুনানি শেষে ৫০
হাজার টাকা মুচলেকায় আদালত এই জামিন আদেশ দেন।
এর
আগে রোববার নিবন্ধনবিহীন ওয়াকিটকি রাখার মামলায়ও তিনি জামিন পান।
২০২০
সালের ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিমকে নিবন্ধনবিহীন ওয়াকিটকি রাখার দায়ে ছয় মাস ও বিদেশি
মদ সেবনের দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২৫
অক্টোবর রাতে এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে
নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান
সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরের দিন হাজী সেলিমের ছেলেসহ সাতজনের বিরুদ্ধে
ধানমন্ডি থানায় মামলা করা হয়।
মামলার
এজাহারে বলা হয়, ‘ইরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা
মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয়
দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি,
তোর
লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং
আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।’
মামলায়
মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি
১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল
প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো
ব্যক্তিকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা,
৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি
কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা,
৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি
কর্মকর্তার ওপর বলপ্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার।