দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছে, তারা ইরানে খুব শিগগিরই আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরই মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, ইরানের অভিযোগ, দক্ষিণ কোরিয়ার ট্যাংকারটি পরিবেশ দূষণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকগুলোতে ইরানের তহবিল জব্দ থাকা নিয়ে তেহরান ও সিউলের চলমান উত্তেজনার মধ্যে সোমবার হরমুজ প্রণালীতে ট্যাংকার আটকের খবর জানানো হয় ইরানি গণমাধ্যমগুলোতে।
‘এমটি হানকুক চেমি’ ট্যাংকারটিকে এর ২০ ক্রুসহ আটক করে ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের নৌ-বাহিনী।
এরপরই মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে হরমুজ প্রণালীর কাছে একটি ডেস্ট্রয়ার পাঠানো হয়েছে। তাতে আছে জলদস্যুতা-বিরোধী একটি ইউনিট। দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এটি পাঠানো হয়েছে।
এডেন উপসাগর এবং হরমুজ প্রণালীতে জলদস্যুর হামলা মোকাবেলায় এই রণতরী গতবছর থেকেই সোমালিয়া উপকূলে রয়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা।
রণতরী পাঠানোর পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়া ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ট্যাংকারটি ছেড়ে দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাগরের পানি দূষিত করার কারণে ট্যাংকারটি আটক করা হয়েছে।
কিন্তু কয়েকটি খবরে বলা হচ্ছে, ইরান আদতে এ ট্যাংকারকে জিম্মি করে দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের জব্দ তহবিল মুক্তি এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি আদায়ের চেষ্টা নিয়েছে।
তবে ইরান আটক ট্যাংকার ও এর ক্রুদেরকে জিম্মি হিসাবে ব্যবহার করার কথা অস্বীকার করেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাং কায়ুং ওয়া অবশ্যই ওইসব খবরের ভিত্তিতে কোনওকিছু ধারণা করে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আসলেই কী ঘটেছে সেটি আমাদেরকে খতিয়ে দেখতে হবে এবং আমাদের ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
“আমরা তাড়াতাড়িই তাদের মুক্তির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি” বলেন কায়ুং ওয়া।