মঙ্গলবার ঢাকার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কমিশনের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে
তিন সদস্যের একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা মাহের উদ্দিনের বিরুদ্ধে
ভারতীয় এক নাগরিককে পাসপোর্ট দেওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকাসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ
সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এসেছে দুদকে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকের
কাছে মাহের তার বিরুদ্ধে আসা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, “আমার কোনো অবৈধ সম্পদ নেই। আমার কাছে যেসব
ব্যাখ্যা চেয়েছে, তা আমি এখানে বলেছি। হয়তো বাকিটা আপনারা এখান থেকে জানতে পারেন।”
একই অভিযোগের অনুসন্ধানে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের আরেক উপ-পরিচালক
হালিমা খাতুন শম্পাকে তলব করা হলেও তিনি জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত হননি।
তবে তার পক্ষে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্রসহ তার স্বামী বক্তব্য
দিয়েছেন বলে জানান মাহের উদ্দিন।
গত বছরের ১২ মার্চ ভারতীয় এক নাগরিককে পাসপোর্ট
প্রদানের অভিযোগে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের সাবেক সহকারী পরিচালক (পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত) আবজাউল আলম, ভারতীয়
নাগরিক হাফিজ আহমেদ, রাজশাহী পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারী রঞ্জু লাল সরকার, হুমায়ুন কবির, দেলোয়ার হোসেন, আলমাস উদ্দিন,
ইব্রাহিম হোসেন ও আবদুল ওয়াদুদের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ওই মামলার এজাহারে বলা হয়, ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদ
ভুয়া জন্ম সনদ ব্যবহার করে রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্টের আবেদন করেন।
এরপর পুলিশ ভেরিফেকশনে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে রিপোর্ট দেওয়ার পরও পাসপোর্ট অফিসের
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি চক্র যোগসাজশে তাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট দেয়।