দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ৫ জানুয়ারিকে
ইতিহাসের ‘কালিমালিপ্ত দিন’ আখ্যায়িত করে মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য
করেন তিনি।
রিজভী বলেন, “এখন জনগণ জানে, যে কোনো নির্বাচনের
আগে নৌকা প্রতীক টেন্ডারে তোলা হচ্ছে। যে প্রার্থী বেশি দামে কিনতে পারে, তার ভাগ্যে
শিকে ছেঁড়ে। নৌকা প্রতীক পাওয়া মানে নির্বাচিত হওয়া।
“এভাবে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের অবাধ, সুষ্ঠু,
নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে।”
২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম সংসদ নির্বাচন বিএনপিসহ
অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছিল। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তারা অংশ নিলেও কারচুপির
অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করে।
বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে একতরফা ভোটের প্রতিবাদে
মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতা-কর্মীরা কালো ব্যাজ
ধারণ করে।
রিজভী বলেন, “সরকার ৫ জানুয়ারির এ দিনে ভোটারবিহীন
নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে করেছে পরাধীন। স্বাধীনভাবে
ভোট প্রদানের অধিকার ও ইচ্ছাকে ধ্বংস করা হয়েছে, গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে সংবিধান,গণতন্ত্রকে।
গত এক যুগ আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোট ডাকাতির উৎসব
করে চলেছে।
“আজ অঘোষিত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সন্ত্রাসী
বাহিনী, গুম-খুন বাহিনী, দখল-লুটেরা বাহিনী, ধর্ষক বাহিনী লণ্ডভণ্ড করে চলেছে গোটা
দেশ। এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার জন্য বন্দি
করে রাখা হয়েছে।”
বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তার করে ‘সন্ত্রাসের
হিম আতংক’ সৃষ্টি করে ক্ষমতাসীনরা প্রতিটি নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের জয়ী করছে বলেও
অভিযোগ করেন রিজভী।
কুমিল্লার লাকসাম ও পাবনা সাঁথিয়ার পৌর নির্বাচনে
ধানের শীষের প্রার্থী মো. বেলাল রহমান মজুমদার, সিরাজুল ইসলাম, কাউন্সিলর প্রার্থী
বেলায়েত হোসেন, রুহুল আমীনের উপর আওয়ামী লীগের হামলার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের
দাবি জানান তিনি।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই
সংবাদ সম্মেলনে দলের ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের
সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন উপস্থিত ছিলেন।