ক্যাটাগরি

কন্যাশিশুকে ধর্ষণ, চট্টগ্রামে একজনের যাবজ্জীবন

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মুনসী আব্দুল মজিদ এ রায় দেন।

দণ্ডিত ব্যক্তি (৪১) ঘটনার পর থেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। তার উপস্থিতিতে আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দিয়েছে আদালত।

“এছাড়া আইনের ৯(৪)(খ) ধারায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”

দুই সাজাই একসঙ্গে কার্যকর হবে এবং আসামি যতদিন কারাগারে আছে তা সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে বলে জানান আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ভুজপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ২০১৯ সালের ১৬ জুন বিকাল সাড়ে তিনটায় নিজের মেয়েকে (১২) ধর্ষণ করেন ওই ব্যক্তি।

সেসময় শিশুটির মা ও ছোট বোন বাড়িতে ছিল না। এ বিষয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুটি সেদিন তার মাকে কিছু জানায়নি।

এরপর ১ জুলাই ভোরে আবারও শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে শিশুটির মা তা জানতে পারেন। সেদিনই শিশুটি তাকে আগে ধর্ষণের বিষয়টি মাকে জানায়।

একদিন পর ৩ জুলাই শিশুটিকে নিয়ে মা থানায় গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(১) এবং ৯(৪)(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়।

মামলার পরই ভুজপুর থানা পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

এরপর ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ওই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তাতে মামলার বাদী শিশুটির মাসহ মোট ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়। গত বছরের ৫ মার্চ এ মামলায় আদালত অভিযোগ গঠন করে।

আইনজীবী খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, সাক্ষীদের মধ্যে একজন মারা যাওয়ায় এবং একজন বিদেশে থাকায় তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্ভব হয়নি।

“শিশুটি নিজে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে। মামলার বাদিও সাক্ষ্য দিয়েছেন। পরে মামলার বাদী আদালতে এসে জানান, তারা আপস করেছেন এবং আসামিকে ক্ষমা করেছেন। কিন্তু ক্ষমাযোগ্য অপরাধ নয় বলে রাষ্ট্রপক্ষ তাতে অসম্মতি জানায়। সাক্ষ্য-জেরা শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দিয়েছেন।”