ক্যাটাগরি

নওগাঁয় গভীর রাতে ঘর তুলে জমি দখল

উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের কবুলপুর এলাকায় গত শনিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

গত রোববার মান্দা থানায় খলিশাকুড়ি গ্রামের কাউসার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, ইমদাদুল হক, নজিবুর রহমান, মিজানুর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন আব্দুল বারী।

আব্দুল বারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভারশোঁ ইউনিয়নের মুশিদপুর গ্রামের মহেন্দ্রনাথ প্রামানিকের সঙ্গে বিনিময় সূত্রে তিনি ওই জমির মালিকানা লাভ করেন।

“কবুলপুর মৌজার সিএস খতিয়ানভূক্ত ১ দশমিক ১১ একর জমির মধ্যে ৫৬ শতক জমি ১৯৭২ সালে কালিপদ ও দেবীপদ রায়ের নামে রেকর্ডভুক্ত হয়। এই কারণে ১৯৯৮ সালে পাওয়ার রেজিস্ট্রির সময় ওই ৫৬ শতক জমি রেজিস্ট্রি করা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে নওগাঁ আদালতে রেকর্ড সংশোধনীর একটি মামলা চলমান রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ১৯৬৪ সালে তারা ভারত থেকে এদেশে আসেন। এরপর বিনিময় সূত্রে পাওয়া মহেন্দ্রনাথ প্রামানিকের জমিগুলো ভোগদখল করে আসছেন।

“কিন্তু হঠাৎ করেই প্রভাবশালী এক ব্যক্তির ইন্ধনে শনিবার গভীর রাতে খলিশাকুড়ি গ্রামের কাউসার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, ইমদাদুল হক, নজিবুর রহমান, মিজানুর রহমানসহ ১০ ব্যক্তি ৫৬ শতক ধানি জমি জবরদখল করে নেন।”

দখলকারীরা ওই জমিতে বাঁশ, প্লাস্টিক বস্তা দিয়ে ছাপড়া ঘর তৈরি করেছে বলে বারী জানান।

এই ব্যাপারে মামলার আসামি মিজানুর রহমান বলেন, “এটি এনিমি সম্পত্তি। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও অধিক সময় ধরে মুশিদপুর গ্রামের আব্দুল বারী ও তার পরিবারের লোকজন ভোগদখল করে আসছেন।”

আরেক আসামি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তাদের কোনো কাগজপত্র নেই। তাই ওই সম্পত্তি আমরা দখল করে নিয়েছি।”

মান্দা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বলেন, এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল তদন্ত করে জবরদখলের সত্যতা পাওয়া গেছে।

“বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত হওয়ায় আদালতের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে না পারে।