“পরিচালনা সমন্বয়ের কারণে, আমরা শিয়ামি মিউজিক সেবা বন্ধ করে দিচ্ছি।” – মঙ্গলবার নিজেদের ওয়েইবো অ্যাকাউন্টে লিখেছে চীনা ই-কমার্স জায়ান্টের অনলাইন মিউজিক প্রতিষ্ঠানটি। ফেব্রুয়ারির পাঁচ তারিখে সেবা বন্ধ হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
ওই ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটি আরও লিখেছে, “১২ বছর পথচলার পর বিদায় জানানোটা আসলেই কঠিন।”
মিউজিক সেবাটি ২০১৩ সালে কিনে নিয়েছিল আলিবাবা। কেনার পর লাখো ইউয়ান বিনিয়োগ করেছে তারা। চীনের অনলাইন মিউজিক বাজারে টেনসেন্টের প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়েছিল সেবাটি। ওই বাজারটিতে টেনসেন্ট হোল্ডিংস আধিপত্য বিস্তারি অবস্থানে রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, বাজারে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেনি আলিবাবা শিয়ামি মিউজিক। হিসেবে গোটা চীনা মিউজিক স্ট্রিমিং বাজারের মাত্র দু্ই শতাংশ বর্তমানে নিজেদের দখলে নিতে পেরেছে সেবাটি। বেইজিংভিত্তিক ডেটা বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান টকিংডেটা বলছে, কুগোউ মিউজিক, কিউকিউ মিউজিক, কুওয়ো এবং নেটইজ ক্লাউড মিউজিকের পরে রয়েছে শিয়ামি মিউজিক।
সম্প্রতি চীনা নিয়ন্ত্রকদের অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখে পড়েছে আলিবাবা। এর পরপরই এলো শিয়ামি বন্ধের ঘোষণা। আালিবাবা অবশ্য অনলাইন মিউজিক শিল্প থেকে সরছে না। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শিয়ামি’র প্রতিদ্বন্দ্বী মিউজিক স্ট্রিমিং সেবা নেটইজ ক্লাউড মিউজিকে ৭০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।