আগের
বছরের ডিসেম্বর মাসে মুল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আর গত নভেম্বর মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মুল্যস্ফীতি
ছিল ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এর অর্থ হল, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যে পণ্য বা সেবার জন্য ১০০ টাকা খরচ করতে হত, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে সেই পণ্য বা সেবার
জন্য ১০৫ টাকা ২৯ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার
একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে
মূল্যস্ফতির তথ্য তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রতিবেদনে
দেখা যায়, ডিসেম্বর মাসে খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ, আগের বছরের
ডিসেম্বর মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আর
গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ২১ শতাংশ, আগের বছরের ডিসেম্বর
মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গত
মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গ্রামীণ এলাকার সাধারণ মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমেছে।
ওই
মাসে গ্রামীণ এলাকায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ। আগের বছরের ডিসেম্বর
মাসে এ হার ছিল ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
ডিসেম্বরে
শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতিও কিছুটা কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ। আগের বছরের ডিসেম্বর মাসে
ছিল ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
বিবিএসের
প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতি কমে আসার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, ডিম, ব্রয়লার মুরগি, শাক-সবজির দাম কমেছে। এছাড়া মসলা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ অন্যান্য মসলার দাম কমেছে। যার ফলে মূল্যস্ফীতি কমেছে।