ক্যাটাগরি

সোনার দাম বাড়ল ভরিতে ১৯৮৩ টাকা

এই দফায় সব ধরনের সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার থেকে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হবে।

মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর তথ্য জানানো হয়।

এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়, “করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সঙ্কট, চীন-ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং ইউএস নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি, তেলের দর পতন এবং নানা জটিল সমীকরণের কারণে বিশ্ব বাজারে স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।”

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পুরোদমে চালু না থাকা, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) সক্ষমতার অভাব এবং নানান দাপ্তরিক জটিলতার কারণে চাহিদা অনুযায়ী সোনা আমদানি না হওয়াকেও দাম বাড়ার কারণ দেখানো হয়েছে।

বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার থেকে দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনা ৭৪ হাজার ৬৫০ টাকায় বিক্রি হবে।

২১ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হবে ৭১ হাজার ৫০০ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের বিক্রি হবে ৬২ হাজার ৭৫২ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির সোনা বিক্রি হবে ৫২ হাজার ৪৩০ টাকায়।

মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রতি ভরি সবচেয়ে ভালো মানের সোনা ৭২ হাজার ৬৬৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

২১ ক্যারেটের সোনা বিক্রি হয়েছে ৬৯ হাজার ৫১৭ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের বিক্রি হয় ৬০হাজার ৭৬৯ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দর ছিল ৫০ হাজার ৪৪৭ টাকা।

সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর সব ধরনের সোনার দাম ভরিতে এক হাজার ১৬৬ টাকা করে কমানো হয়। তার এক সপ্তাহ আগে ভরিতে ২ হাজার ৫০৮ টাকা কমানো হয়েছিল।

তার আগে ১৫ অক্টোবর অবশ্য ভরিতে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়েছিলেন গহনা ব্যবসায়ীরা।

গত অগাস্ট মাসে দেশের বাজারে সোনার ভরি ৭৭ হাজার ২১৬ টাকায় উঠেছিল; যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড।

দেশে সোনার দাম কমলেও রুপার দামে কোনো হেরফের হয়নি। আগের দামেই বিক্রি হবে রুপার গহনা।

গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে সোনার মতো হলমার্ক চিহ্নযুক্ত (কেডিএম) রুপা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে বাজুস।

প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট রুপা এক হাজার ৫১৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২১ ক্যারেটের রুপার অলংকার বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩৫ টাকায়। ১৮ ক্যারেটের ভরি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২২৫ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির রুপার গহনা বিক্রি হচ্ছে ৯৩৩ টাকায়।